পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●じrbr গৌড়ের ইতিহাস । বল্লালসেন ও লক্ষ্মণসেনের রচিত কতকগুলি উদ্ভট শ্লোক পাওয়া যায় । বিক্রমপুরে রামপাল দীঘির তীরে বল্লালসেনের বাটীর ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হয়। এই ভগ্নাবশেষের নাম বল্লালবাড়ী। ইহা কোন বল্লালসেনের বাড়ী— তাহা নিশ্চয় বলা যায় না। গোঁড়প্রদেশাধিকারের পূৰ্ব্বে সেন-রাজগণ বঙ্গে প্রাধান্ত লাভ করেন । মহারাজ বল্লালসেনেব অনেক পরে বৈদ্যজাতীয় এক বল্লালসেন পূৰ্ব্ববঙ্গে রাজত্ব করিয়াছিলেন, এইরূপ জনশ্রুতি আছে । বল্লাল-বাড়ী তাহারই বাড়ী হওয়ার সম্ভব। ইহা - একট দুর্গবদ্ধ স্থান। ইহার পরিমাণ ৭• • বর্গফুট ; ইহা ২০০ ফুট আয়ত পরিখাদ্বারা পরিবেষ্টিত। বল্লাল বাড়ীর অৰ্দ্ধমাইল দূরে অগ্নিকুও’ নামে একটী পুষ্করিণী আছে। আনন্দভট্ট বলেন, করতোয় তীরবর্তী মহাস্থানে উগ্রনামক একটী প্রাচীন শিবলিঙ্গ ছিল । শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব, বৌদ্ধ সকলেই সেই মন্দিরে শিব পূজা করিতে যাইত। একদিন বল্লালমহিষী বহুমূল্য উপকরণ দ্বারা শিব পূজা করেন। পূজার দ্রব্যের ভাগ লইয়া মন্দিরের মহন্ত ও রাজ-পুরোহিতের মধ্যে বিবাদ উপস্থিত হয়,— মহন্ত, পুরোহিতকে মন্দির হইতে তাড়াইয়া দেয়, পুরোহিত, রাজার নিকট মহন্তের ঈদৃশ আচরণ জ্ঞাপন করিলে, রাজা, মহন্তকে স্বরাজ্য হইতে নির্বাসিত করেন । মহস্ত, বৈর-নিৰ্য্যাতন সাধনোদেশে, বায়াছম্ব বা বাবা আদম নামক মুসলমান ফকিরের শরণাগত হয় ; ফকির বল্লালসেনের সঙ্গে যুদ্ধের জন্ত উপস্থিত হয় । যুদ্ধযাত্রার সময় বল্লাল একটা পারাবত সঙ্গে করিয়া লইয়া যান, এবং অন্তঃপুরিকাগণকে বলিয়া যান যে, “যদি যুদ্ধে পরাজয় হয়, তবে আমি এই পারাবত ছাড়িয়া দিব, এই পারাবত উড়িয়া আসিলে, তোমরা বুঝিতে পারিবে—যুদ্ধে আমার পরাজয় ঘটিয়াছে। তখন তোমরা জাতিধৰ্ম্মরক্ষার জন্ত অগ্নিকুণ্ডে আত্মবিসর্জন করিবে । আবদুল্লাপুর নামক স্থানে এই যুদ্ধ উপস্থিত হয়। সে যুদ্ধে বল্লালসেনের