পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ १ ।। গৌড়ের ইতিহাস তাম্রলিপ্তনগরী। লিখিত আছে, স্বন্ধের পরিসর ভাগ গঙ্গাতরঙ্গ-বিধৌত। সে দেশ বড় রসময় । সেখানে সেন-বংশের ইষ্টদেব মুরারি দেবরাজ্যে অভিষিক্ত ; তিনি স্বন্ধেই থাকেন। কোন নগরে মুরারিদেবের মন্দির ছিল, তাহ জানা যায় না। পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, সেন বংশীয়ের দক্ষিণাপথ হইতে আসিয়া সুবর্ণরেখানদীতীরে কাশীপুরী (বৰ্ত্তমান কাণীয়াড়ি ) নামক স্থানে রাজধানী স্থাপন করেন । গঙ্গাতীরস্থ সুহ্মারাজ্য র্তাহাদের অধিকারভুক্ত ছিল । সম্ভবতঃ কাশীপুরীতে মুরারিদেবের মন্দির ছিল । ইহার পর গৌড়দেশের বর্ণনারম্ভ হইয়াছে। লিখিত আছে, সেখানে মহাদেবের নগর শ্বেতঅট্টালিকাবলীতে কৈলাস পৰ্ব্বতের ন্তায় শোভমান । সেখানে গঙ্গানদীর তীরে অৰ্দ্ধগৌরীশ্বর মূৰ্ত্তি বিরাজমান। মহাদেবের ক্ষেত্র হইতে গঙ্গা অল্পদুরন্থ। কিন্তু ইহার মধ্যে প্রকাও বাধ আছে ; তাহা বল্লাল নরপতির নাম চিরস্মরণীয় করিয়া রাখিয়াছে । সেখানে গঙ্গা উত্তালতরঙ্গমালাসস্কুল। ব্রাহ্মণকন্যাগণ যমুনায় জলক্রীড়া করিতে আসিলে, তাহদের স্তনস্থিত মৃগমদ, তরঙ্গবিধৌত হইয়া, যমুনার জল আরও কালো করিয়া দেয়, ইত্যাদি । এই বর্ণনা গৌড়ের নয়,--ইহা ত্রিবেণীর বর্ণনা । গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী এই স্থানে মিলিত হওয়ায়, ইহার ত্রিবেণী নাম হইয়াছে। সেন-রাজগণের সময়ে ত্রিবেণীর নিকটবৰ্ত্তী প্রদ্যুম্ননগর অত্যন্ত সমৃদ্ধিসম্পন্ন ছিল। বোধ হয়, বৰ্ত্তমান হুগলী জেলার পাণ্ডুয়াকে পূৰ্ব্বে প্রস্থ্যমনগর বলিত । ত্রিবেণী হইতে আরো উত্তরে গিয়া লক্ষ্মণসেনের রাজধানী বিজয়পুর দেখিবার কথা আছে । কুবলয়বতী, পবনকে বলিতেছেন,—“বিজয়পুরে প্রকাও ছাউনি দেখিবে । সেখানে অট্টালিকার উপর চিলে-ঘর । দেওয়ালে খোদিত অনেক পুতুল । সেস্থান বড় পবিত্র । সেখানে লক্ষ্মণসেনের সাতমহল বাড়ী। সেই ভবনে এক প্রকাও দীর্ঘিকা আছে।