পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যtয় । ミソ> হইয়াছিলেন। রাজকার্যাপেক্ষ ধৰ্ম্মকাৰ্য্যে অধিক আসক্ত ছিলেন। তিনি রাজ্য রক্ষার্থ কোন উদ্যোগই করেন নাই ; কিন্তু রাজপুত্র কেশবসেন ও বিশ্বরূপসেন মুসলমানদিগকে বাধা দিতে ক্রটি করেন নাই। প্রজাগণ এই সেনবংশীয়দের প্রতি অনুরক্ত ছিল না । বৈদিক ব্রাহ্মণের প্রজাদিগের প্রতি অত্যন্ত উৎপাত করিতেন ; এই উৎপাত বৌদ্ধধৰ্ম্মবলম্বীদিগের প্রতি অধিক হইত। উৎপাতের মাত্রা এত অধিক ছিল যে, ব্রাহ্মণের ইচ্ছানুসারে তাহাদিগের ধনহরণ করিতেন,—এমন কি, তাহাদের প্রাণবধ করিলে ও ব্রাহ্মণদের কোন দগু হইত না । এই জন্ত মুসলমানের গৌড়রাজ্য আক্রমণ করিলে প্রজাসাধারণ সেনরাজ্যের স্থায়িত্ব কামনা করে নাই। আমরা রমাই পণ্ডিতের শূন্তপুরাণের “নিরঞ্জনের কুষ্মা” নামক অধ্যায়ট পাঠ করিয়া ইহ জানিতে পারি। মুসলমান ঐতিহাসিকগণ রাজা লক্ষ্মণসেনকে রায় লছমনিয়া বলিয়াছেন। লছমনিয়া, লক্ষ্মণ বা লছমন শব্দের তুচ্ছার্থবোধকরূপ । মুসলমানেরা ঘৃণা করিয়া এই নাম দিয়াছিল। লছমনিয়া হইতে বঙ্গীয় ইতিহাসকারের লাক্ষ্মণেয় নামের স্বষ্টি করিয়াছেন । বাস্তবিক লাক্ষ্মণেয় নামের কোন রাজার সেনবংশে জন্ম হয় নাই— দুইজন লক্ষ্মণসেনও ছিলেন না । বল্লালসেনের পুত্র লক্ষ্মণসেনই গৌড়ের শেষ হিন্দুরাজা । মিনহাজউদ্দিন সিরাজির গ্রন্থে নবদ্বীপকে নওদিয়ার বলা হইয়াছে। নওদিয়র শব্দে নূতন দেশ। লক্ষ্মণসেন অত্যস্ত দাতা ছিলেন ; তজ্জন্ত নরকে র্তাহার যন্ত্রণার লাঘব হইবে, মুসলমান ইতিহাসকার এরূপ অনুমান করিয়াছেন। লক্ষ্ণণসেনের জন্ম সম্বন্ধেও “তবকৎ-ই-নাসিরি” গ্রন্থকার এক অদ্ভূত গল্প লিথিয়া গিয়াছেন। তিনি শুনিয়াছিলেন, লক্ষ্মণসেনের মাতার প্রসব-বেদন উপস্থিত হইলে, দৈবজ্ঞেরা গণিয়া বলিয়াছিলেন যে, “এখন প্রসব হইলে প্রস্থত