পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । ২১৫ (৬) সদাশিব মুদ্রা দ্বারা মুদ্রিত করিয়া তাম্রশাসন প্রদত্ত হইয়াছে * (৭) প্রদত্ত ভূমিতে চট্ট-ভট্ট প্রবেশ নিষিদ্ধ হইয়াছে। (৮) প্রদত্ত ভূমিতে পুষ্করিণী কাটিবার ও সুপারি নারিকেল গাছ লাগাইয়া পুত্র পৌভ্রাদিক্ৰমে ভোগ-দখলের অধিকার দেওয়া হইয়াছে, যথা –“তৎসজলনানাপুষ্করিণ্যাদিকং কারয়িত্ব গুবাক-নারিকেলাদিকং লগ্‌গয়িত্ব পুত্র-পৌত্ৰাদি সন্ততি ক্রমেণ”। এখন পর্য্যন্ত জমির পাট্টায় এইরূপ লিখিত হইয়া থাকে। (৯) চতুঃসীমাববদ্ধ শাসনভূমির পরিমাণ ৩০০, এখন যেমন জমির জরীপ করিয়া চিঠায় জমির দাগ অর্থাৎ নম্বর লিখিত হয়, পূৰ্ব্বকালেও কোন বিষয় বা মগুলের জমিতে সেইরূপ নম্বর নির্দিষ্ট হইত । (১০) লক্ষ্মণসেনের তাম্রশাসনত্রয়ে যে যে পদস্থ কৰ্ম্মচারীর নাম আছে, এই তাম্রশাসনে ও প্রায় সেই সমস্ত কৰ্ম্মচারীর নাম পাওয়া যায় ; ইহাতে বোধ হয়, রাজ্যের বড় বড় কৰ্ম্মচারীরা রাজার সঙ্গে পুৰ্ব্ববঙ্গে আশ্রয় লইয়াছিলেন । - ( ১১ ) দত্তোস্তুব কোন ব্যক্তি কেশবসেনের মহাপাত্র ছিলেন । নামটা স্পষ্ট পড়া যায় না—গৌড়ভট্টক নাম হইতে পারে । (১২) 'শ্ৰীমৎসহসাকরণনি’ ‘শ্ৰীমহা মদনক করণনি’, শ্রীমৎকরণনি এ কয়েকটা শব্দের অর্থবোধ হইল না । উহার কি কেরাণী ছিল ? সদাশিব মুক্তি এইরূপ— বদ্ধ পদ্মাসনাসীনঃ সিতঃ ষোড়শবর্ষক । পঞ্চবক্তঃ করাগ্ৰৈ: স্বৈদশভিশ্চৈব ধারয়ন ॥ অভয়ং প্রসাদং শক্তিং শূলং খট্রাঙ্গমীশ্বরঃ দক্ষৈ করে।বামকৈশ্চ ভুঞ্জগঞ্চাক্ষস্থত্রকং ॥ ডমরুকং নীলোৎপলং বীজপুরক মুত্তমং। ইচ্ছাজ্ঞান ক্রিয় শক্তিস্ত্রিনেত্ৰোহি সদাশিবঃ (গরুড়পুরাণ পুৰ্ব্বাৰ্দ্ধ ২৩শ অধ্যায়)