পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ>Wう গৌড়ের ইতিহাস । (১৩) কেশবসেনের রাজত্বের কোন বর্ষে তাম্রশাসনখানি প্রদত্ত হয়, তাহ জানা যায় নাই, তবে ৩রা জ্যৈষ্ঠ দিন লিখিত আছে । ইহাতে বোধ হয়, কেশবসেন, ভ্রাতা মাধবসেনের নামে, তৎকালে রাজ্য শাসন করিতেছিলেন ; তজ্জন্ত নিজের রাজত্বের বৎসর নির্দেশ করেন নাই । হরিমিশ্রের কারিকার আছে, কেশবসেন সৰ্ব্বদী যবন ভয়ে ভীত থাকিতেন ; তজ্জন্ত তিনি পূৰ্ব্বপুরুষগণের প্রবর্তিত কুলবিধির কোন উন্নতি করিতে পারেন নাই । à কেশবসেন একজন মুকবি ছিলেন । সদুক্তি কর্ণামৃতে মাধবসেন ও কেশবসেনের কবিতা উদ্ধৃত হইয়াছে। বিশ্বরূপ সেন । বিশ্বরূপ সেন লক্ষ্মণসেনের কনিষ্ঠ পুত্র ; ইনি বসুদেবীর গর্ভজাত । ইনি তাহার জ্যেষ্ঠ দুই ভ্রাতা অপেক্ষ বীর ছিলেন। মুসলমানদিগকে বাধা দিতে অনেক চেষ্টা করেন ; কিন্তু অকৃতকাৰ্য্য হইয়া, পূৰ্ব্ববঙ্গে প্রস্থান করেন । ইনি কেশবসেনের মৃত্যুর পর, ১২১৫ খৃষ্টাব্দে, সিংহাসনারোহণ করেন। ইহার প্রদত্ত একখানি তাম্রশাসন পাওয়া গিয়াছে। তাহা কেশবসেনের দানীয় ঈশ্বর দেবশৰ্ম্মার ভ্রাতা বিশ্বরূপ দেব শৰ্ম্মাকে প্রদত্ত হয়। প্রদত্ত ভূমির পরিমাণ ৬• ০ ও ৫৪৭ । ইহাতে বোধ হয়, দুই থানি ভূমি প্রদত্ত হয়। একখানি ভূমি পোঞ্জিক পী গ্রামে ছিল ; পোঞ্জিকাপীর বর্তমান নাম পিঞ্জারী, উহা বৰ্ত্তমান ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত। এই তাম্রশাসনে গৌড়সন্ধিবিগ্রহিক কোপিবিষ্ণুর নাম আছে। ইনি কেশবসেমেরও মহাসন্ধিবিগ্রহিক। ইহঁার পূৰ্ব্বপুরুষের নাম লোমপাদবিষ্ণু । বিশ্বরূপের রাজত্বের ১৯শ বর্ষের ১লা আশ্বিনে এই তাম্রশাসন প্রদত্ত হয় । শুনা যায়, বিশ্বরূপ বায়শতখানি গ্রাম প্রদান করেন ।