পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(? R গৌড়ের ইতিহাস। কিয়ৎকালের জন্ত মলিন হইয়া যায়। বৌদ্ধ তান্ত্রিক মতের দেখাদেখি হিন্দু-তান্ত্রিক মতের স্বষ্টি হয়, এবং শবরাদি জাতি তান্ত্রিক মত গ্রহণ করিতে থাকে । গুপ্ত-রাজ্য বিধ্বস্ত হইলে, ভারতবর্ষে কিয়ৎকাল কোন সাম্রাজ্য ছিল না । তখন পুণ্ড রাজ্য কিয়ৎকালের জন্য স্বাধীনতা ভোগ করিয়াছিল । “কথাসরিৎসাগর’ গ্রন্থে পুণ্ড,বদ্ধনের দেবসেন নামক রাজার কন্য তুঃখলব্ধিকার স্বয়ম্বরের কথা আছে । পুণ্ড দেশের নানাস্থানে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ও মহাক্ষত্রপ রুদ্রসেন প্রভৃতির মুদ্রণ পাওয়া গিয়াছে। সমুদ্রগুপ্তের তাম্রশাসনে করতোয়ার পূর্ববৰ্ত্তী অঞ্চলের কান্তার নাম এবং বাস্ত্ৰনামক রাজার উল্লেখ আছে। কাস্তারকে এখন কেয়ার বলে । মহাস্থান গড়ে মহেন্দ্ৰসিংহ পরাক্রমের যে মুদ্রণ পাওয়া গিয়াছে, তাহাতে কুমারগুপ্তের নাম খোদিত আছে। ইহাতে বোধ হয়, খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে পুণ্ড রাজ্য গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধীন ছিল । মানসার নামক আর একজন রাজার নাম পাওয়া যায়। ইনি গুপ্তসাম্রাজ্যধ্বংসকারী তৃণজাতীয় ছিলেন বলিয়া বোধ হয় । ‘দশকুমার চরিতে” মানসার নৃপতির নাম আছে। 歌 কোন সময়ে পুণ্ড রাজ্যে বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের বিশেষ প্রাচুর্ভাব হয় । সেই জন্য আর্য্যাবর্তের প্রাচীন ব্রাহ্মণসমাজ অঙ্গ-বঙ্গকে হীনচক্ষে দেখিতেন। মহাবীরের শিষ্য সুধৰ্ম্মস্বামী ও প্রশিষ্য জম্বুস্বামী পৌণ্ড রাজো জৈনধৰ্ম্ম প্রচার করেন। জম্বুস্বামী ৪৬৩ পূৰ্ব্ব খৃষ্টাব্দে কোটিকপুরে প্রাণত্যাগ করেন। ইহার সমাধি-দর্শনার্থ লক্ষ লক্ষ লোক সমাগত হইত। ভদ্রবাহুর শিষ্য গোদাম কর্তৃক জৈনদিগের তাম্রলিপ্তিকা পুণ্ড,বৰ্দ্ধনীয়া কোটিরষীয়া ও কর্কটিয়া নামক কয়েকট শাখার স্বষ্টি হয়।*

  • পুরাতন মালদহের নিকটস্থ স্বৰ্য্যপুরনামক লুপ্ত নগরের অরণ্যের মধ্যবৰ্ত্তী