পাতা:গৌড়ের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায়। や> অপেক্ষা বঙ্গদেশীয় গোঁড় পুরাতন বটে ; পাণিনি স্বত্রের পূৰ্ব্বদেশীয় নগরের উল্লেখে গৌড়ের নাম দৃষ্ট হয় – “অরিঃ গৌড় পূৰ্ব্বে চ”, ৬২১• • কিন্তু সেই প্রাচীনকালে কোন স্থান হইতে পূৰ্ব্ব দেশ ধরা হইত, তাহা বিবেচ্য। সম্ভবতঃ পাণিনির উল্লিখিত গৌড় এই বঙ্গদেশীয় গৌড় নহে। পঞ্চনদ ব্যতীত সমুদয় আধ্যাবৰ্ত্ত সাধারণতঃ গৌড় নামে উক্ত হইত। , আর্য্যাবৰ্ত্তের ভাষা শ্রেণীকেও গৌড়ীয় ভাষা বলা হইত। পৌরাণিক যুগে এইরূপ নামকরণ হইয়াছিল। গৌড়. বাসীদিগের সংস্কৃত-রচনার রীতি সংস্কৃত অলঙ্কার গ্রন্তে ‘গৌড়ী-রীতি’ নামে প্রসিদ্ধ। ওজঃপ্রকাশক বর্ণ দ্বারা পদ-রচনা ও সমাসের বাহুল্য হইলে গৌড়ী-রীতি হয় * । বাণভট্টের হর্ষ চরিতে গৌড়বাসীদিগের রচনা আড়ম্বরপূর্ণ বলা হইয়াছে। সংস্কৃত আলঙ্কারিকের সংস্কৃত রচনার চারি প্রকার রীতির মধ্যে গৌড়ী-রীতিকে গ্রহণ করায় জানা যাইতেছে, গৌড়-রাজ্যে সংস্কৃত ভাষার বিলক্ষণ চর্চা ছিল। লোক সাধারণ অদ্ধমাগধী ভাষা ব্যবহার করিত। ভরত নাট্য শাস্ত্রে লিখিত আছে, নাট্যভিনয়ে গৌড়পাত্রগণ অৰ্দ্ধমাগধী ব্যবহার করিত। গৌড়ী, গৌড়-সারঙ্গ প্রভৃতি কয়েকটা প্রসিদ্ধ রাগ-রাগিণীর উল্লেখ সংস্কৃত শাস্ত্রে দেখা যায়। খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে গৌড় রাজের গৌরব পূৰ্ব্বদিকে ঘৃনান অর্থাং টঙ্কুইন পৰ্য্যন্ত এবং পশ্চিমদিকে উদয়ন (উদ্যান ) অর্থাৎ কাবুলের নিকটবৰ্ত্তী প্রদেশ পর্যন্ত অনুভূত হইত । শুনা যায়, মগধে প্রদ্যোতন বংশীয়গণ যে সময়ে রাজত্ব করিতেন,

  • পুরুষোত্তম বলিয়াছেন—“বহুতরসমাসযুক্ত মহাপ্রাণাক্ষর গৌড়ীয় রীতিরমুপ্রাসমইিমপরতন্ত্রাইস্তোভবাক্যাচ” t -

+ রায় শ্ৰীযুক্ত শরচ্চন্দ্র দাস বাহাদুরের ১৯, ৭ সালের ৩রা মার্চের প্রদত্ত বক্তৃত।