পাতা:গৌড়ে সুবর্ণ বনিক - শিবচন্দ্র শীল.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rb“ গৌড়ে সুবৰ্ণ বণিক । সত্য, ত্ৰেতা, দ্বাপর ও কলিযুগে, এই ধৰ্ম্ম যাহা ( আচরিত হইবে। ) তাহা তোমাকে দলিলাম। মহাভারতে যখন কলিযুগে ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যের কর্তব্য ধৰ্ম্ম ( কৰ্ম্ম ) উক্ত হইয়াছে, তখন কলিতে ঐ দুই বর্ণের কদাচ অভাব হইতে পারে না। বনপর্বের २bb' अक्षा अश७ कश्डि व्gछ ব্ৰাহ্মণঃ সৰ্বভক্ষ্যাশ্চ ভবিষ্যন্তি কলৌযুগে । অজপা ব্ৰাহ্মণাস্তাত শূদ্র জপ পরায়ণঃ ॥ ন তদা ব্ৰাহ্মণঃ কশ্চিৎ স্বধৰ্ম্মমুপজীবতি । ক্ষত্ৰিয়াশ্চাপি বৈশ্যশ্চ বিকৰ্ম্মস্থা নিরাধিপ ৷ কলিযুগে ব্ৰাহ্মণগণ সৰ্বভক্ষী হইবেন, তাহারা জপ করিবেন না-শূদ্রে জপ করিবে । কোনও ব্ৰাহ্মণ, স্বধৰ্ম্মে থাকিয়া জীবিকা নির্বাহ করিবেন না । ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য অবিহিত কৰ্ম্ম করিবেন। দেখা গেল, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য, কলিযুগে শূদ্র হইবেন, একথা মহাভারতে নাই-বরঞ্চ তঁহাদের অস্তিত্বের প্রমাণই পাওয়া যাইতেছে। তবে কলিযুগের অন্তে বৰ্ণভেদ থাকিবে না। বনপর্বে ১৯০ অধ্যায়ে একবর্ণন্তদা লোকে ভবিষ্যতি যুগক্ষয়ে। কলিযুগের শেষে লোক একবৰ্ণ হইবে। অগ্ৰে ৭ পৃষ্ঠায় ধৃত মহাভারতের বচনে, সর্বাগ্রে বৈশ্যের ও পরে ব্ৰাহ্মণাদির বৃত্তির উল্লেখ থাকায় আরও প্রমাণিত হইতেছে, বিশগণ, প্ৰথমে বৈশ্য আখ্যা ও তৎপরে ব্ৰাহ্মণাদি আখ্যা পাইয়াছিলেন, কলিযুগের অন্তে, আবার ব্ৰাহ্মণাদি আখ্যার লোপ হইলে, সকলেই বিশ বা বৈশ্য হইয়া উপরে ধূত বচনানুসারে “এক বর্ণ” হইবেন। কলিযুগের অন্তে পুনঃ সত্য যুগের প্রবৃত্তি হইলে, কেবল মাত্র বিশ থাকিবেন সুতরাং পরে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও শূদ্রের উৎপত্তি হইবে। ষষ্ঠ অধ্যায় । কালান্তরে দেখিতে পাই, বণিকগণ, রাঢ়দেশে ৬ টি সমাজ ভুক্ত হইয়া বাস করিতেছেন। ছয় সমাজের নাম-১ বিহরণ, ২ সপ্তগ্রাম, ৩ বৰ্তমান ৪ নবগ্রাম ৫ আজাপুব, ৬ কার্জনাপুর।