পাতা:গৌতমীয়-তন্ত্রম্‌.djvu/৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তান্ত্রিক সাধক সেই মায়ার বিভ্রমে অবিদ্যা সাধন করিয়া অষ্টসিদ্ধিলাভের আশা করিতেছেন। বৈদাম্ভিক সেই মায়াবাদ ছিন্ন করিয়া আত্মজীবনে বেদান্তসিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করিতে প্রয়ম পাইতেছেন- অদ্বৈজ্ঞানের বিকাশ দেখাইতেছেন–জগৎ মিথ্য-গুণাতীত শক্তিতরঙ্গ উচ্ছসিত নিরাকার নিগুৰ্ণ ব্ৰহ্মই একমাত্র সত্য জ্ঞান করিতেছেন। কিন্তু ইহাও সেই মহামায়ার অনন্ত লীলার বিস্তু বিকাশ প্রহেলিকামাত্র। বুদ্ধিরথে আরোহণ করিয়। এ তরঙ্গ সঙ্কুল অসীম লীলাসমুদ্র অতিক্রম করিবার উপায় নাই । বৈষ্ণবসাধক ভক্তিসাধনায় আত্মোৎসগ করিয়াছেন—প্রেমময়ের অনত্ব প্রেমলালার কল্পনাতীত সৌন্দবা-মাধুর্য্য প্রত্যক্ষ করিয়া প্রেমের সাধন করিতেছেন । এ সাধনা মাতৃরূপে নহে-নায়িকারূপে—প্রেমময়ী রমণীরূপে—প্রমের দিব্যমূৰ্ত্তি স্ত্রীরাধারূপে এ সাধনী—কামগন্ধহীন স্বৰ্গীয় প্রেম—শুদ্ধ ভক্তির উপাসনা ! শাস্ত—দাস্ত-সখা-মাধুৰ্য্য—তুমি প্রভু, আমি দাস–সংসারে জম্মজনিত অপার দুঃখকে ভয় কি—আমার কোটি কোটি জন্ম হউক।--কিন্তু প্ৰভু, এ অধম অক্ষম দাস ধেম কোন দিন তোমার সেবায় বঞ্চিত না হয় । যেন বিলাসের আপাত-মধুর কোন অশুভ মুহূৰ্ত্তে তোমাকে ভুলিবার অবসর না হয়। মোক্ষ চাহি না—নিৰ্ব্বাণ আমার কামা নহে—জনমে জনমে তুমি আমার প্রাণনাথ হইও–যেন তোমার শ্ৰীচরণ-সরোজ ধ্যান করিতে করিতে তোমার দিব্যজ্যোৎস্না-তরঙ্গগঠিত—টির অপরিয়ান পারিজাতরাশির মুধমামণ্ডিত সেই ত্রিলোকে অতুল রাতুল চরণ দুটি স্মরণে, মননে, ধানে, স্তখে, দু:খে সৰ্ব্বদা দেখিতে দেখিতে সেন জীবন গোয়াইতে পারি। তুমি প্রভু, অনন্ত প্রেমময়—তোমার স্বৰ্গীয় । প্রেমন্ত্রাতিমাধুরীর কিঞ্চিদপি কিঞ্চিৎ অংশ হৃদয়ে উপলদ্ধি করিবার সৌভাগ্যে বঞ্চিত করিও না প্ৰভু ! তাহা হইলে আর বঁচিব না-মরিতে,ত' সৰ্ব্বদা প্রস্তুত— কিন্তু মরণেও ত’ সে চরম পরম সুখ, সে অপার আনন্দ আর পাইব না । সেই সমস্ত ক্ষুধার অফুরন্ত মুধাকরের ভক্তিত্বধাপানে মনোমধুকর তৃপ্ত—কৃতাৰ্থ হইতে পারিবে না । ভক্ত-বৈষ্ণবের এই প্রেমসাধনার গুহাতত্বের উৎস-মূল কোথায়? স্ত্ৰীতগোবিনে ষে প্রেমলীলামাধুর্বোর স্বৰ্গীয় স্বামী—চণ্ডিদাস, বিদ্যাপতি, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস যে প্রেমের গানে প্রাণের আকুল নিবেদন