পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১১৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
চাঁদের গ্রহণ
৮৩

—সূর্য্য তখন পূর্ব্বদিকে আছে। এখন ছায়াটা কি রকম পড়িয়াছে যদি লক্ষ্য কর, তাহা হইলে দেখিবে, তোমার একটা লম্বা ছায়া সূর্য্যের উল্টা দিকে অর্থাৎ পশ্চিমে পড়িয়াছে।

 মহাকাশে পৃথিবী, চন্দ্র প্রভৃতি যে-সব গ্রহ-উপগ্রহ সূর্য্যকে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে তাহাদের নিজের আলো নাই। কাজেই সূর্য্যের আলো তাহাদের এক পিঠে পড়িলে, উল্টা দিকে তাহাদের এক একটা প্রকাণ্ড ছায়া আকাশে পড়ে। এই ছায়াকে আমরা অবশ্য সর্ব্বদা দেখিতে পাই না, কারণ ছায়া যতই বড় হউক, কোনো জিনিসের উপরে না পড়িলে তাহা দেখা যায় না। কাজেই সূর্য্যের আলোতে পৃথিবীর ছায়া বা চাঁদের ছায়া সর্ব্বদা আকাশে থাকিলেও তাহা আমাদের নজরে পড়ে না। যখন তাহা আকাশের কোনো বড় জিনিসের উপরে পড়ে তখনই আমরা তাহা দেখিতে পাই।

 চাঁদের গ্রহণ কি রকমে হয়, তাহা বলিতে গিয়া জ্যোতিষীরা বলেন, পৃথিবীর যে একটা প্রকাণ্ড ছায়া আকাশে সর্ব্বদাই আছে তাহা চাঁদের উপরে পড়িলেই গ্রহণ হয়। ছায়ার ভিতরে প্রবেশ করিলে সকল জিনিসেরই উজ্জ্বলতা কমিয়া আসে, ইহা ত তোমরা সর্ব্বদাই দেখিতে পাও। কাজেই চাঁদ যখন পৃথিবীর ছায়ার ভিতরে প্রবেশ করে, তখন তাহারো উজ্জ্বলতা কমিয়া আসে। এই জন্যই গ্রহণের চাঁদে আলো থাকে না, তাহা প্রায় অন্ধকার হইয়া পড়ে।

 চাঁদের গ্রহণের একটা ছবি দিলাম, এই ছবিটি দেখিলেই চাঁদ কি রকমে পৃথিবীর ছায়ার ভিতরে যায় তাহা বুঝিতে পারিবে। ছবিতে দেখ, সূর্য্য ও চাঁদের মাঝে পৃথিবী দাঁড়াইয়া আছে। সূর্য্যের আলোতে যে ছায়া হইয়াছে, তাহা মহাকাশের দিকে ছুটিয়া চলিয়াছে। চাঁদ এই ছায়ার মধ্যে আছে বলিয়াই চাঁদের গ্রহণ হইয়াছে।

 আমরা আগে বলিয়াছি, পূর্ণিমা তিথিতে চাঁদ যখন সম্পূর্ণ গোলাকার