পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১১৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৮৪
গ্রহ-নক্ষত্র

থাকে, তাহার গ্রহণ কেবল সেই সময়েই হয়। ইহার কারণ তোমরা এখন নিজেরাই বাহির করিতে পারিবে। চাঁদের ক্ষয়বৃদ্ধি বুঝাইবার সময়ে যে ছবিটি দিয়াছি, তাহা দেখিলেই বুঝিবে, পূর্ণিমা তিথি ভিন্ন অন্য কোনো সময়ে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্য্যের মাঝে পড়ে না; কাজেই পৃথিবীর ছায়া এই সময় ভিন্ন অপর কোনো সময়ে চাঁদের উপরে পড়িতে পারে না। অন্য সকল সময়েই পৃথিবীর ছায়া চাঁদের অনেক তফাতে থাকিয়া যায়। কাজেই পূর্ণিমা ছাড়া অপর কোনো তিথিতে চাঁদের গ্রহণ হয় না।

 গ্রহণের সময় চাঁদখানি পৃথিবীর ছায়ার ভিতরে গেলে সূর্য্যের একটুও আলো চাঁদে পড়িতে পায় না; কাজেই সেই সময়ে চাঁদকে একেবারে অন্ধকার দেখিবার কথা। কিন্তু পূর্ণগ্রহণের সময়েও চাঁদ একেবারে অন্ধকার হয় না—তামার মত এক রকম লাল্‌চে অস্পষ্ট আলো তখনো চাঁদে থাকিয়া যায়। যদি চাঁদের নিজের আলো থাকিত, তাহা হইলে না হয় বলিতাম, এই আলো চাঁদের নিজেরি আলো। কিন্তু চাঁদ ত আমাদেরই মাটি-পাথরের মত অনুজ্জ্বল! তবে ঐ লাল্‌চে আলোটা কোথা হইতে চাঁদের উপরে পড়ে?

 এই প্রশ্নের উত্তর ঠিক হইয়া গিয়াছে। জ্যোতিষীরা বলেন, পৃথিবী যখন সূর্য্য ও চাঁদের মাঝে দাঁড়াইয়া সূর্য্যের আলো রোধ করে, তথন সব আলোকে যে আট্‌কাইতে পারে না। পৃথিবীর চারিদিকে যে পঞ্চাশ মাইল গভীর বাতাসের আবরণ আছে, তাহাই সূর্য্যের এক একটু আলোকে বাঁকাইয়া চাঁদে লইয়া গিয়া ফেলে। আলো সকল সময়েই সরল পথে অর্থাৎ সোজা পথে যায়, তাহা কখনই বাঁকা পথে চলে না। কিন্তু যখনই তাহা কোনো ঘন বা হাল্‌কা স্বচ্ছ জিনিসের ভিতর দিয়া যাইতে চায়, তখন তাহার পথ বাঁকিয়া যায়। মহাশূন্য হইতে যে-সব আলোর রেখা সোজাপথ ধরিয়া পৃথিবীর উপরে আসিয়া