পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১২২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

চাঁদের দিবা-রাত্রি

চাঁদের উপরটা পৃথিবীর চেয়ে গরম কি ঠাণ্ডা একথা তোমাদিগকে বলা হয় নাই। এ সম্বন্ধে যাহা কিছু জানা গিয়াছে, তাহাতেও বুঝা গিয়াছে, চাঁদে জীবজন্তু গাছপালা থাকিতে পারে না।

 তোমরা নিশ্চয়ই দেখিয়াছ, শুক্ল পক্ষ হউক আর কৃষ্ণ পক্ষ হউক, যখনি চাঁদকে দেখা যায় তখনি তাহার একটা পিঠই আমাদের নজরে পড়ে। এজন্য চাঁদের একটা পিঠে যত পাহাড়-পর্ব্বত ও সাগর-উপসাগরের দাগ আছে আমরা কেবল সেইগুলিকেই জানি। চাঁদের অপর পিঠে কি আছে আমাদের জানা নাই। জানা না থাকিলেও, ইহা বেশ বুঝা যায় যে, পৃথিবীর উপরের সকল জায়গায় মাটি-পাথর যেমন এক রকমের, চাঁদের দুই পিঠেরও অবস্থা তেমনি একই রকমের।

 যাহা হউক চাঁদের একটা পিঠ সকল সময়েই পৃথিবীর দিকে থাকাতে, চাঁদের দিনরাত্রি দুইই খুব বড় হইয়া পড়িয়াছে। তোমরা দেখিয়াছ, পৃথিবী চব্বিশ ঘণ্টায় একবার মেরুদণ্ডের চারিদিকে ঘুরপাক খায়, ইহাতে ঐ চবিবশ ঘণ্টারই মধ্যে একবার দিন ও একবার রাত্রি হয়। কিন্তু পৃথিবী জোর করিয়া চাঁদের একটা মুখই নিজের দিকে টানিয়া রাখে। এ জন্য চাঁদ যে সময়ের মধ্যে একবার পৃথিবীকে ঘুরিয়া আসে সেই সময়ের মধ্যে সে নিজের মেরুদণ্ডের চারিদিকে একবারের বেশি ঘুরপাক দিতে পারে না। কিন্তু চাঁদ পৃথিবীকে ঘুরিয়া এক অমাবস্যা হইতে আর এক অমাবস্যায় আসিতে প্রায় সাড়ে