পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১২৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৯০
গ্রহ-নক্ষত্র

নিমেষের মধ্যে তাহা চাঁদ ছাড়িয়া আবার মহাকাশের দিকে ছুটিয়া যায়। কাজেই সকল সময়ে মহাশূন্যের মতই চাঁদ ঠাণ্ডা থাকে। দিনের তাপে চাঁদ যদি এত ঠাণ্ডা থাকে, তাহা হইলে উহার যে আধ্‌খানায় পনেরো দিন ধরিয়া রাত্রি থাকে, তাহা যে আরো ঠাণ্ডা হইবে, তোমরা ইহা অনায়াসে বুঝিতে পারিতেছ।

 চাঁদ কি পরিমাণ ঠাণ্ডা তাহাও জ্যোতিষীরা হিসাব করিয়াছেন। তোমরা জ্বর মাপিবার থারমোমিটার নিশ্চয়ই দেখিয়াছ। মানুষের গায়ের গরম সাড়ে আটানব্বুই ডিগ্রির সমান। সুতরাং সাড়ে আটানব্বুই ডিগ্রির গরম কি রকম তোমরা আন্দাজ করিতে পার। এই গরম কমিয়া কমিয়া যখন শূন্য হইয়া পড়ে, তখন কত ঠাণ্ডা হয় এখন ভাবিয়া দেখ। জ্যোতিষীরা বলেন, চাঁদ এত ঠাণ্ডা যে, সেখানে থার্‌মোমিটার রাখিলে তাহার তাপ শূন্যের নীচেও পঞ্চাশ ডিগ্রি কমিয়া যায়। ভাবিয়া দেখ কি ভয়ানক ঠাণ্ডা! যদি চাঁদে একটুও জল থাকিত তাহা হইলে এই ঠাণ্ডায় জমিয়া তাহা পাথরের মত শক্ত বরফ হইয়া দাঁড়াইত না কি? এই রকম চাঁদে কি মানুষ থাকিতে পারে, না গাছপালা জন্মিতে পারে?

 তাহা হইলে দেখা যাইতেছে, গাছপালা জীবজন্তুকে বাঁচাইয়া রাখিবার মত তাপও চাঁদে নাই।