সেকেণ্ডে প্রায় ত্রিশ মাইল রাস্তা চলে এবং এই রকমে চলিয়াই অষ্ট-আশী দিনে সূর্য্যকে ঘুরিয়া আসে। সূর্য্যের চারিদিকে যত ছোট বড় গ্রহ উপগ্রহ ঘুরিতেছে, তাহাদের মধ্যে কোনোটি এত বেগে চলে না। এই জন্যই গ্রীকেরা বুধের নাম দিয়াছিলেন (Mercury) অর্থাৎ “সূর্য্যের দূত।”
অমাবস্যার পরে চাঁদ কেন এক-একটু বড় হইয়া শেষে পূর্ণিমায় সম্পূর্ণ গোল হইয়া পড়ে, তাহা তোমাদিগকে আগে বুঝাইয়াছি। বুধ ও শুক্রের সূর্য্য-প্রদক্ষিণ-পথ পৃথিবীর পথের ভিতরে আছে, এই জন্য বুধ ও শুক্র দুয়েরই চাঁদের মত ক্ষয় বৃদ্ধি দেখা যায়।
বোধ হয় কথাটা বুঝিতে পারিলে না। এখানে একটা ছবি দিলাম, ছবি দেখিলেই বুঝিবে। ছবির মাঝে সূর্য্য স্থির হইয়া দাঁড়াইয়া
আছে এবং তাহারি চারি পাশে বুধ ঘুরিতেছে। পৃথিবী আছে, ইহাদের ভ্রমণপথের বাহিরে। সূর্য্যের আলো উহার গায়ে লাগায় কি রকমে বুধের কলার হ্রাসবৃদ্ধি হইতেছে, তোমরা এখন ছবি দেখিলেই বুঝিবে।