পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৫১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

মঙ্গল

এবার আমরা মঙ্গলগ্রহের কথা বলিব। শুক্রের পথের বাহিরে পৃথিবীর ভ্রমণ-পথ। ইহার পরেই মঙ্গলের পথ। আগেকার সেই ছবিখানি দেখিলে তোমাদের এই-সব কথা মনে পড়িবে। কাজেই দেখা যাইতেছে, পৃথিবীর এক দিকে আছে শুক্র এবং আর এক দিকে আছে মঙ্গল। শুক্র ও মঙ্গল যেন পৃথিবীর দুইপাশের দু’জন প্রতিবেশী। ইহাদের দু’জনের মধ্যে শুক্রই পৃথিবীর একটু কাছে, মঙ্গল একটু দূরে। ঘুরিতে ঘুরিতে সে যখন পৃথিবীর খুব কাছে আসিয়া দাঁড়ায়, তখন তাহার দুরত্ব চাঁদের দূরত্বের প্রায় এক শত গুণ হয়। মঙ্গল কখনই ইহার চেয়ে পৃথিবীর কাছে আসিতে পারে না।

 মঙ্গলকে ইংরাজিতে Mars বলে। আমাদের দেশের প্রাচীন জ্যোতিষীরা ইহাকে নানা নামে ডাকিতেন;—অঙ্গারক, লোহিতাঙ্গ, যম, কুজ, সম্বর্ত্ত এই রকম অনেক নাম আমাদের পুরাণ ও জ্যোতিষের বইতে দেখা যায়। কিন্তু “মঙ্গল” এই নামটা ইহার নিতান্তই আদরের নাম। গ্রহ-নক্ষত্রের স্থান ইত্যাদি দেখিয়া যাঁহারা মানুষের ভাগ্য গণনা করেন, তাঁহারা মঙ্গলকে ভাল গ্রহ বলেন না। মঙ্গলের স্বভাব অত্যন্ত ক্রূর, এজন্য ইহার দৃষ্টি যাহার উপরে পড়ে, তাহার নাকি অমঙ্গল হয়। এই জন্যই বলিতেছিলাম, “মঙ্গল” এই নামটি উহার আদরের নাম। যাহা হউক গণক ঠাকুরদের কথা বলিব না, আকাশের বহুদূরের গ্রহেরা এক-একটা মানুষের উপরে দৃষ্টি দিয়া কি রকমে তাহার অদৃষ্টকে কখনো ভাল কখনো মন্দ করে, তাহা জানি না।

 মঙ্গল-গ্রহের জন্ম-সম্বন্ধে আমাদের পুরাণে একটি মজার গল্প আছে।