পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৫৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১১৬
গ্রহ-নক্ষত্র

বড় দেখায়; তা’র উপরে আবার লাল রঙ্ থাকে। আকাশে যখন লাল রঙের বড় তারা দেখিবে, তখন জানিবে উহা মঙ্গলগ্রহ।

 কিন্তু মঙ্গলকে দেখিবার ঐ রকম সুবিধা সকল বৎসরে হয় না। দুই বৎসর অন্তর কয়েক মাসের জন্য যখন উহা পৃথিবীর কাছে আসে কেবল সেই সময়েই উহাকে বড় দেখায়। অন্য সময়ে মঙ্গলকে খুঁজিয়া বাহির করিতে হইলে তোমরা পাঁজি দেখিয়া উহার স্থান ঠিক করিয়া লইতে পারিবে। পাঁজিতে যেখানে মাসের বিবরণ আরম্ভ হইয়াছে, তাহার ঠিক আগেকার পাতায় কোন্ গ্রহ আকাশের কোন রাশিতে আছে তাহা স্পষ্ট করিয়া লেখা থাকে। রাশিচক্রের সঙ্গে তোমাদের যখন পরিচয় হইবে, তখন রাশিগুলিকে খুঁজিয়া তোমরা তাহাদের মধ্যে গ্রহদের সন্ধান করিতে পারিবে।

 মনে কর, আমরা বাংলা ১৩২১ সালের বৈশাখ মাসে মঙ্গলগ্রহকে চিনিবার জন্য পাঁজি দেখিতেছি। পাঁজিতে লেখা আছে ৫ই বৈশাখ মঙ্গল কর্কট-রাশিতে আছে। রাশিচক্রের সহিত তোমাদের যখন পরিচয় হইবে, তখন কর্কট-রাশি আকাশের কোন্ জায়গায় আছে একবার আকাশের দিকে তাকাইয়াই তোমরা চিনিতে পারিবে। কাজেই এই কর্কট-রাশিতে খোঁজ করিলেই তোমরা মঙ্গলকে দেখিতে পাইবে। নক্ষত্রদের মধ্য হইতে গ্রহদিগকে চিনিয়া বাহির করিবার এমন সহজ উপায় আর কোথাও পাইবে না।

 যাহা হউক এখন মঙ্গলের অন্যান্য বিষয়গুলির কথা বলা যাউক।

 আয়তনে মঙ্গল পৃথিবীর অনেক ছোট, এমন কি শুক্রের চেয়েও ছোট। চারিটা মঙ্গল জোড়া না দিলে একটা পৃথিবী গড়া যায় না। তাহা হইলে বুঝা যাইতেছে, আয়তনে মঙ্গল পৃথিবীর সিকির সমান। ইহার উপরে আবার সে বেশি ভারিও নয়। একটা প্রকাণ্ড দাঁড়িপাল্লায় এক দিকে যদি পৃথিবীকে চাপাও, তাহা হইলে আর একদিকে নয়টা মঙ্গলকে