পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৫৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১১৮
গ্রহ-নক্ষত্র

পড়িয়াছে। অল্প রাস্তা চলিতে অল্প সময় লাগে এবং বেশি রাস্তা চলিতে বেশি সময় লাগে, ইহা তোমাদের জানা কথা। এই জন্যই মঙ্গল সূর্য্যকে ঘুরিয়া আসিতে বেশি সময় লয়। এ সম্বন্ধে আর একটা কথাও বলা যাইতে পারে। পৃথিবী কত বেগে চলিয়া সূর্য্যকে ঘুরিয়া আসে, তাহা তোমরা জান না কি? সে প্রতি সেকেণ্ডে ঊনিশ মাইল করিয়া চলে। কিন্তু মঙ্গল ইহার চেয়ে অল্প বেগে সূর্য্যকে ঘুরে। এই বেগের পরিমাণ সেকেণ্ডে পনেরো মাইল মাত্র। কাজেই দেখ, মঙ্গল দু’রকম অসুবিধার মধ্যে থাকিয়া সূর্য্যকে ঘুরে,—প্রথমে তাহার রাস্তাটা খুব লম্বা, তার উপরে সে চলে আস্তে আস্তে। এই দুই কারণেই মঙ্গল এক বৎসর এগারো মাসের কমে সূর্য্যকে ঘুরিতে পারে না।

 মঙ্গলের চাল-চালন সম্বন্ধে মোটামুটি কতকগুলি কথা তোমাদিগকে বলিলাম। এখন উহার উপরকার খবর তোমাদিগকে দিব। আমাদের প্রতিবেশী বলিয়া মঙ্গলের অনেক খবরই আমাদের জানা আছে। এথনো দু’এক জন জ্যোতিষী বড় বড় দূরবীণ দিয়া কেবল মঙ্গলকেই পর্য্যবেক্ষণ করিতেছেন, তাহার ফোটোগ্রাফ্-ছবি তুলিতেছেন, এবং তাহার উপরে কি কি জিনিস আছে ভাল করিয়া দেখিতেছেন। এই রকমেই মঙ্গল গ্রহ-সম্বন্ধে অনেক খবর আমরা অল্পদিনের মধ্যে জানিতে পারিয়াছি।

 মঙ্গলে বাতাস আছে এবং বাতাসে কিছু জলীয় বাষ্পও মিশানো আছে, কিন্তু পৃথিবীর আকাশের মত মঙ্গলের আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে না। এই জন্য মঙ্গলের উপরকার অনেক জিনিস আমরা দূরবীণ দিয়া পরিষ্কার দেখিতে পাই।

 এখানে মঙ্গলের দুইখানি ছবি দিলাম। খুব বড় দূরবীণে মঙ্গলকে যে রকম দেখায়, ছবি ঠিক সেই রকমের। ছবির উপরে যে শাদা দাগ দেখিতেছ, তাহা কিসের দাগ বলিতে পার কি? জ্যোতিষীরা