পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৬২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১২২
গ্রহ-নক্ষত্র

দেহ ক্ষুদ্র এবং টানিবার শক্তি অল্প বলিয়া সে বাতাসকে বাঁধিয়া রাখিতে পারে নাই; এক একটু করিয়া অনেক বাতাসই মঙ্গলকে ছাড়িয়া মহাশূন্যে মিশিয়া গিয়াছে। জলের অবস্থাও তাহাই;—চাঁদের মত মঙ্গলে সাগরের গর্ত্ত আছে বলিয়া মনে হয়, কিন্তু তাহাতে একবিন্দুও জল নাই। প্রায় সকল জলই মাটির গভীর স্থানে বা নানা জিনিসের সহিত মিশিয়া রহিয়াছে,—যখন ইচ্ছা জল পাইবার উপায় নাই। কাজেই দেখ, যেদিন অবশিষ্ট বাতাসটুকু মঙ্গলকে ছাড়িয়া চলিয়া যাইবে এবং অবশিষ্ট জল মেরুপ্রদেশে জমা না হইয়া মাটির আরও গভীর স্থানে গিয়া লুকাইবে, সেদিন মঙ্গলে জীবের চিহ্নমাত্র থাকিবে না। তখন শ্মশানতুল্য দেহটাকে লইয়া আমাদের চাঁদের মত আকাশে ঘুরিয়া বেড়ানো মঙ্গলের একমাত্র কাজ হইবে।