পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৬৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১২৪
গ্রহ-নক্ষত্র

সব খবর জানিবার জন্যও তাঁহারা কাগজ-পেন্‌সিল্ লইয়া বড় বড় অঙ্ক কষিতে লাগিলেন। কিছুদিনের মধ্যে উহাদের সব বিবরণই জানা গিয়াছিল; তখন জোতিষীরা নিশ্চিন্ত হইয়া দিনকতক আরামে ঘুমাইতে পারিয়াছিলেন।

 মঙ্গলের চাঁদের কথা শুনিয়া তোমরা হয় ত ভাবিতেছ, চাঁদ দুটি আমাদের চাঁদের মত বড়। কিন্তু তাহা নয়,—সে দুটি আকারে এত ছোট যে, আমাদের চাঁদের সহিত তাহাদের তুলনাই করা যায় না। আমাদের চাঁদকে যদি একটা মাঝারি গোছের ফুটবল্ বলিয়া মনে করা যায়, তাহা হইলে মঙ্গলের চাঁদ দুটি একটি মটরের আধখানার সমান হয়। ভাবিয়া দেখ, কত ছোট।

 নূতন গ্রহ-উপগ্রহের সন্ধান পাইলেই জ্যোতিষীরা তাহাদের এক একটা নাম দিয়া থাকেন। মঙ্গলের খুব কাছে থাকিয়া যে চাঁদটি ঘুরিতেছে, জ্যোতিষীরা তাহার নাম দিয়াছেন ফোবো (Phobo), এবং যেটা দূরে আছে তাহার নাম হইয়াছে ডাইমো (Diemo)। ইহাদের মধ্যে ফোবো একটু বড়। কিছু বড় হইলে কি হয়, তাহার বেড় একশত মাইলের কিছু বেশি। অথাৎ ফোবোর উপর দিয়া যদি একটা রেল-লাইনের বেড় থাকিত, তাহা হইলে তোমরা সেখানকার রেলের গাড়ীতে চড়িয়া দু-ঘণ্টা আড়াই ঘণ্টায় তাহাকে ঘুরিয়া আসিতে পারিতে। অর্থাৎ কলিকাতা হইতে ডাক-গাড়ীতে গোয়ালন্দ যাইতে বা বোলপুরে যাইতে যতটা সময় লাগে, ফোবোকে দুরিয়া আসিতে তাহার বেশি সময় লাগে না।

 ডাইমো আরো ছোট। ইহার বেড় ত্রিশ মাইলের বেশি নয়। তোমরা দু-চার জন যদি ডাইমোতে যাও, তাহা হইলে হাঁটিয়াই তাহার অর্দ্ধেকটা একদিনে দেখিয়া আসিতে পার।

 মঙ্গলের চাঁদ দুটিকে ভগবান্ যেন খেলার সামগ্রী করিয়া গড়িয়াছেন।