পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৮৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

শনি

নামটি শুনিলেই ভয় হয়। শনির দৃষ্টি যাহার উপরে পড়ে, তাহার আর উদ্ধার নাই। শনি একবার নাকি আদর করিয়া গণেশের দিকে চাহিয়াছিল, ইহাতে গণেশের কি দুর্গতি হইয়াছিল, তাহা ত তোমরা জান। তাঁহার মাথাটি উড়িয়া গিয়াছিল, শেষে একটা হাতীর মাথা আনিয়া জোড়া দেওয়ায় গণেশ বাঁচিয়া ছিলেন। যাহা হউক, সেই শনিই এখন আকাশে গ্রহরূপে বিরাজ করিতেছেন। আমাদের পূর্ব্ব পুরুষেরা শনি-গ্রহকে বেশ জানিতেন। ইহার গতিবিধি উদয়-অস্ত সকলি হিসাব পত্র করিতেন। কাজেই শনি অতি পরিচিত গ্রহ। হয় ত দুই হাজার বৎসর পূর্ব্বেও ইহার কথা আমাদের জ্যোতিষীদের জানা ছিল।

 বৃহস্পতির পরেই শনির পথ। ইহার মত আশ্চর্য্য গ্রহ তোমরা সমস্ত আকাশে খুঁজিয়া পাইবে না। গ্যালিলিয়ো সাহেব তাঁহার নিজের দূরবীণ দিয়া শনিকে প্রথন দেখিয়া যেমন অবাক্ হইয়াছিলেন, তিন শত বৎসর পরে এখনো শনিকে দেখিয়া ঠিক্ সেই রকমেই অবাক হইতে হয়। বড় দূরবীণে বুধ শুক্র মঙ্গল বা বৃহস্পতিকে দেখিলে কোনোটিকে চাঁদের মত বড় দেখায়, কোনোটিকে হয় ত ভাঁটার মত দেখায়। কিন্তু শনির আকৃতি ইহাদের কাহারো সহিত মিলে না। দূরবীণে শনিকে কি রকম দেখায়, এখানে তাহার একখানি ছবি দিলাম।

 ছবিতে দেখ,—চাকার মত কয়েকটি উজ্জ্বল গোল জিনিস রহিয়াছে এবং তাহারি ফাঁকে ভাঁটার মত শনি-গ্রহ দাঁড়াইয়া আছে।