পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৯০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৪২
গ্রহ-নক্ষত্র

চাকাগুলির সহিত শনির আসল দেহের কোনো যোগ নাই,—মাঝে বেশ একটু ফাঁক। দূরবীণ দিয়া কোনো গ্রহকে যদি হঠাৎ এই রকম আকারে দেখা যায়, তাহা হইলে আশ্চর্য্য না হইয়া থাকা যায় কি? শনি সত্যই এই রকম আশ্চর্য্য জিনিস। এই রকমটি আর কোথায়ও দেখা যায় না।

 আকাশের এতগুলো তারার মধ্যে কোন্‌টি শনি, তাহা স্থির করা কঠিন নয়। যাঁহারা তোমাদের চেয়ে বয়সে বড় তাঁদের মধ্যে কাহারো একটু জ্যোতিষ জানা থাকিলে, কোন্ নক্ষত্রটি শনি তাহা তিনি দেখাইয়া দিতে পারিবেন। যদি সে-রকম কাহাকেও না পাও, নিজেরাই পাঁজি দেখিয়া শনির সন্ধান করিতে পারিবে। প্রতিমাসে শনি-গ্রহ কোন নক্ষত্র-রাশিতে থাকে, তাহা পাঁজিতে লেখা থাকে। কিন্তু খালি চোখে শনিকে দেখা আর না দেখা উভয়ই সমান। শনির সেই প্রকাণ্ড আকৃতি, তাহার চারিদিকের চাকা এবং তাহার গোটা দশেক চাঁদ, কিছুই খালি চোখে দেখা যায় না। দূরবীণ না দিয়া দেখিলে তাহাকে একটা উজ্জ্বল তারার মতই দেখিবে।

 যে-সকল জ্যোতিষী শনিকে প্রথমে দেখিয়াছিলেন, তাঁহারা উহার চাকাগুলিকে গায়ে লাগানো না দেখিয়া বড়ই আশ্চর্য্য হইয়াছিলেন। চাকা শনির চারিদিক বেড়িয়া কি রকমে শূন্যে দাঁড়াইয়া থাকে ইহাই তাঁহাদের চিন্তার বিষয় হইয়াছিল, এখন অবশ্য এরকম দুশ্চিন্তার কারণ নাই, আজকালকার জ্যোতিষীরা শনির খুঁটিনাটি অনেক খবরই জানিতে পারিয়াছেন। আমরা একে একে সেই সব খবরই তোমাদিগকে দিব। তোমরা যদি কাছে থাকিতে, তাহা হইলে আমাদের দূরবীণটা দিয়া শনির আশ্চর্য্য আকৃতি তোমাদিগকে দেখাইতে পারিতাম। কিন্তু তাহা যখন হইবার নহে, কাজেই এখন শনির ছবি দেখিয়া ও তাহার গল্প শুনিয়া তোমাদিগকে সন্তুষ্ট থাকিতে হইবে।