পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৯৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

শনির চক্র

এখন আমরা শনির চাকার কথা বলিব। তোমরা যদি আগেকার ছবিটিকে ভাল করিয়া দেখ, তাহা হইলে স্পষ্ট বুঝিতে পারিবে, শনির চাকা একটা নয়, পর পর তিনটি চাকা সাজানো আছে। গ্যালিলিয়ো যখন তাঁহার নিজের হাতে-গড়া দূরবীণ দিয়া শনিকে দেখিয়াছিলেন, তখন তিনি চাকাগুলিকে স্পষ্ট দেখিতে পান নাই। শনির একটা কিম্ভুতকিমাকার চেহারা দেখিয়াই আশ্চর্য্য হইয়া পড়িয়াছিলেন। চাকাগুলির খুঁটিনাটি সকল খবর আমরা আজকালকার জ্যোতিষীদের কাছেই জানিতে পারিয়াছি। বড় বড় দূরবীণ দিয়া বহুকাল শনিকে দেখিয়া এবং কত হিসাবপত্র করিয়া তাঁহারা শনির চাকার খবর বাহির করিয়াছেন।

 তোমরা বোধ হয় ভাবিতেছ, এত হিসাবপত্রের দরকার কি? গাড়ীর চাকা যেমন কাঠ দিয়া গড়া হয়, শনির চাকা না হয় মাটি-পাথর দিয়া গড়া। তার জন্য আবার হিসাব-পত্র কেন? তোমরা যেমন ভাবনা চিন্তা কর, জ্যোতিষীরা সে-রকম চিন্তা করিয়া স্থির থাকিতে পারেন না। চাকাগুলি কি রকমে শূন্যে দাঁড়াইয়া আছে এবং শনির টানে তাহা ভাঙিয়া চুরিয়া কেন শনির উপরে গিয়া পড়ে না,—এই সব বিষয় তাঁহাদিগকে তর্ক-বিতর্ক করিয়া আলোচনা করিতে হইয়াছিল।

 যাহা হউক তোমাদের কাছে সেই সব কঠিন হিসাব-পত্রের কথা বলিব না। যখন বড় বড় অঙ্কের বই পড়িবে, তখন ঐসব হিসাবের