পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
গ্রহ-নক্ষত্র

সাঁকোর উপর অগ্রসর হইতে থাকিলে, প্রথমে গাড়োয়ানের পাগড়ীটা তার পরে গাড়ীর ছাদ এবং সকলের শেষে গাড়ী, গরু ও চাকা নজরে পড়িবে।

 তোমরা যদি কলিকাতায় ভাগীরথীর উপরকার হাওড়ার পুল দেখিয়া থাক, তবে ঐ কথাগুলি বেশ বুঝিবে। এই পুলের উপরকার রাস্তা হাতীর পিঠের মতই ঢালু। কলিকাতার দিকের রাস্তায় দাঁড়াইয়া যদি হাওড়া ষ্টেশনের গাড়ীগুলা কি রকমে আসিতেছে দেখ, তবে প্রথমে গাড়ীগুলাকে দেখিতেই পাইবে না। তার পরে সেগুলি ক্রমে অগ্রসর হইতে থাকিলে, একএকটু করিয়া শেষে তাহাদের সর্ব্বাঙ্গ দেখিতে পাইবে।

 আমাদের পৃথিবী যে হাতীর পিঠের মত সত্যই ঢালু, তাহা ঐ-প্রকার পরীক্ষাতেই স্পষ্ট বুঝা গিয়াছে।

 সহরের মধ্যে বা অপর স্থলভাগে এই পরীক্ষা করা যায় না, কারণ ঘর-বাড়ী পাহাড়-পর্ব্বত সম্মুখে দাঁড়াইয়া পরীক্ষার ব্যাঘাত জন্মাইয়া দেয়। সমুদ্রই এই পরীক্ষার উপযুক্ত স্থান। সেখানে ঘর-বাড়ী নাই, পাহাড়-পর্ব্বত প্রায়ই দেখা যায় না; বৃহৎ জলরাশি চারিদিকে ধূ ধূ করে। জাহাজে চড়িয়া যখন সমুদ্রের উপর দিয়া যাওয়া যায়, তখন খুব দূরের জাহাজগুলিকে দেখা যায় না। পৃথিবীর উপরটা হাতীর পিঠের মত ঢালু, তাই ঐ ঢালু অংশ মাঝে দাঁড়াইয়া থাকিয়া দূরের জাহাজগুলিকে আড়াল দিয়া রাখে। তার পরে সেগুলি যতই নিকটে আসিতে থাকে, একে একে তাহাদের সকল অংশই নজরে পড়ে। প্রথমে জাহাজের চোঙ্ কিংবা মাস্তুল দেখা যায়, তার পরে জাহাজের কাম্‌রা ইত্যাদি এবং সকলের শেষে তাহাদের তলাটা নজরে পড়ে।

 ফুট্‌বলের পরীক্ষাতেও আমরা উহাই দেখিয়াছিলাম। নীচের পিপীলিকা যখন উপরের পিপীলিকার সহিত দেখা করিতে চলিয়াছিল,