পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২০৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ইউরেনস্
১৫৫

গ্রহটিকে দেখিলেন। ভগিনী ক্যারোলিনাও সঙ্গে গেলেন; এবং ভাই-ভগিনী দুজনেই অনেক রাজ-সম্মান পাইলেন। শেষে এই সঙ্গীত-শিক্ষকই ইংলেণ্ডের রাজ-জ্যোতিষী হইলেন এবং সমস্ত পৃথিবীর লোক তাঁর জয়-জয়কার করিতে লাগিল।

 তোমরা বোধ হয় বুঝিতে পারিতেছ, হার্সেল্ সাহেব ঐরকমে যে গ্রহের আবিষ্কার করিয়াছিলেন, এখন তাহাকেই আমরা ইউরেনস্ বলিয়া থাকি।

 বাপ-মা আত্মীয়-স্বজন পরামর্শ করিয়া ছেলে-মেয়েদের নামকরণ করেন। ইহাতে কোনো গোলযোগ হয় না। কিন্তু হার্সেলের নূতন গ্রহের নামকরণে বেশ একটু তর্ক-বির্তক হইয়াছিল। হার্সেলের ইচ্ছা ছিল, গ্রহটির নাম ইংলণ্ডের রাজা জর্জের নাম-অনুসারে হয়, তাই তিনি উহার “জর্জিয়ম্” নাম রাখিয়াছিলেন। কিন্তু অপর দেশের জ্যোতিষীরা ইহাতে ঘোর আপত্তি করিলেন। তাঁহারা বলিতে লাগিলেন, গ্রহদের নাম এপর্য্যন্ত প্রাচীন দেবতাদের নামেই হইয়া আসিতেছে, অতএব নূতন গ্রহের নাম রাজার নামে না হওয়াই ভাল। সভাসমিতি করিয়া বোধ হয় কোনো ছেলে-মেয়ের নাম রাখা হয় নাই; কিন্তু সূর্য্যের এই নূতন ছেলেটির নাম ঠিক করিবার জন্য সভা হইল, কত পরামর্শ হইল, জ্যোতিষীদের কত বক্তৃতা হইয়া গেল; এবং শেষে তাহাকে “ইউরেনস্” নামে ডাকাই স্থির হইল।

 অতি অল্প দিন হইল আমরা ইউরেনসের সন্ধান পাইয়াছি, কিন্তু তাই বলিয়া তোমরা মনে করিয়ো না এটা নিতান্ত ছোট গ্রহ। আমাদের কাছ হইতে সূর্য্য কত দূরে আছে, তাহা তোমরা জান। ইউরেনস্ পৃথিবী হইতে তাহারি আঠারো গুণ দূরে আছে। এত দূরে আছে বলিয়াই সে এতদিন আকাশের কোণে লুকাইয়া থাকিতে পারিয়াছিল। আকারে সে পঁইষট্টিটা পৃথিবীর সমান। কাজেই ইহাকে ছোট গ্রহ