পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২১৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ধূমকেতু
১৬৭

কেন, তাহাতে সার পদার্থ কিছুই নাই। এইজন্যই জ্যোতিষীরা বলেন, ধূমকেতুর লেজে যে পদার্থটুকু আছে তাহা যদি এক সঙ্গে করিয়া ওজন করা যায়, তাহা হইলে তাহার ওজন আধ্‌সের বা তিন পোয়ার বেশি হয় না,—অর্থাৎ যদি সুবিধা হয় তাহা হইলে তোমরা একটা বড় ধূমকেতুর লেজ অনায়াসে গুটাইয়া পকেটে পুরিয়া রাখিতে পার।

 যাহার লেজ এত হাল্‌কা তার মুণ্ডটা খুব ভারি হইবে, এই কথা বোধ হয় তোমরা ভাবিতেছ? কিন্তু ধূমকেতুর মুণ্ডও খুব ভারি নয়,—তবে লেজের চেয়ে মুণ্ড ভারি।

 ছেলে-বেলায় আমরা যখন ভূতের গল্প শুনিতাম, তখন আমার বড় ভয় করিত। তোমরাও হয় ত খুব ছেলে-বেলায় ভূতের গল্প শুনিয়া ভয় পাইয়াছ। কিন্তু ঠাকুর মা যখন বলিতেন, ভূত কিছুই নয় কেবল একটা হাওয়া; তাহারা কাহারো অনিষ্ট করে না, এমন কি ভূতে ঢিল মারিলে তাহা কাহারো গায়ে লাগে না।;—তখন মনে মনে একটু সাহস হইত। ধূমকেতুগুলো যেন সূর্য্যের রাজ্যের ভূত,—কোথায় কিছু নাই, হঠাৎ দেখা দিয়া ইহারা লোকের মনে ভয় লাগাইয়া দেয়। কিন্তু যখন জ্যোতিষীদের কাছে শুনি যে, তাহাদের গায়ে সার জিনিস কিছুই নাই, আগাগোড়া সবই ফাঁকি, তখন সাহস হয়।

 কিন্তু কিছুদিন আগেও জ্যোতিষীরা এরকমে সাহস দিতে পারিতেন না; কারণ তখন তাঁহারা ধূমকেতুর ভিতরের খবর জানিতেন না। এজন্য আগেকার লোকে ধূমকেতু দেখিলেই ভয় পাইত এবং ভাবিত, ইহাদের উদয় হইলে বুঝি দেশে অজন্মা হয়, মারী-ভয় দেখা দেয়। যাঁহারা জ্যোতিষের খবর জানেন না, তাঁহারা আজও ঐ রকম বৃথা ভয় করেন।

 ধূমকেতু জিনিসটা কি এখন তোমাদিগকে বলিব। বুঝিতেই পারিতেছ ইহারা সূর্য্যের রাজ্যের প্রজা নয়। ধূমকেতু যদি পৃথিবী বৃহস্পতি বা