পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২২০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৭২
গ্রহ-নক্ষত্র

আরম্ভ করে। সূর্য্য তাহার পরিবারের সকলকে ক্রমাগত ঘুরপাক্ খাওয়ায়;—যে-সব ধূমকেতু পরিবারভুক্ত হইয়া পড়ে তাহাদিগকেও সে এক-একটা নির্দ্দিষ্ট পথে নির্দ্দিষ্ট সময়ে ঘুরাইয়া আনিতে থাকে।

 এখানেও দেখ, সূর্য্যের কত অন্যায়। অজানা রাজ্য হইতে আসিয়া যাহারা হঠাৎ এই জগতে পা দিয়াছে, তাহাদিগকে এই রকমে বন্দী করা কি সূর্য্যের উচিত? কেবল বন্দী করিয়া ক্ষান্ত হয় না, সূর্য্য সেগুলিকে ঘুরাইয়া লইয়া বেড়ায়। ধূমকেতুরা যদি ইচ্ছা করিয়া সূর্য্যের রাজ্যের প্রজা হইত, তাহা হইলে দোষ ছিল না, কিন্তু সূর্য্য এবং বৃহস্পতি শনি ইউরেনস্ প্রভৃতি বড় বড় গ্রহেরা জোর করিয়া ধূমকেতুদিগকে আটক করে এবং ঘুরাইয়া লইয়া বেড়ায়। ইহা কি কম অত্যাচারের কথা!

 তোমরা বোধ হয় ভাবিতেছ,—সে আবার কি! সূর্য্য শনি বৃহস্পতি ধূমকেতুদিগকে আটক করে কি করিয়া? কিন্তু ইহারা সত্যই আটক করে। জ্যোতিষীদিগকে জিজ্ঞাসা কর, তাঁহারা ঐ-রকমে বন্দী ধূমকেতুর অন্তত কুড়ি পঁচিশটার নাম বলিয়া দিবেন।

 সূর্য্যের নিজের গায়ে কি রকম জোর তাহা তোমরা আগে শুনিয়াছ। দুই শত আশী কোটি মাইল তফাতে আকাশের এক কোণে যে নেপ্‌চুন্ গ্রহটি লুকাইয়া আছে, সূর্য্য তাহাকেও টানিয়া ঘুরাইয়া লইয়া বেড়ায়। কাজেই যে-সব ধূমকেতু কুক্ষণে এ রাজ্যে পা দেয়, কায়দায় পাইলে সূর্য্য তাহাদের বেগ কমাইয়া বন্দী করিয়া ফেলে। বিড়াল ভয় পাইলে ও রাগিলে কি রকমে লেজ ফুলায় দেখিয়াছ ত! ধূমকেতুগুলিও সূর্য্যের কাছে গেলে সেই রকম লেজ ফুলাইয়া কত ভয় দেখায়। কিন্তু সূর্য্য তাহাতে ভয় পায় না,—সুবিধা পাইলেই উহাদের কোনোকোনোটিকে ধরিয়া নিজের চারিদিকে চিরদিনের জন্য ঘুরপাক্ খাওয়াইতে থাকে।

 তোমরা বোধ হয় ভাবিতেছ,—সূর্য্যের হাত হইতে যাহারা রক্ষা পায়, তাহাদের বুঝি ফাঁড়া কাটে। কিন্তু তাহা হয় না। ফিরিবার