পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২২৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

ইংরাজি ১৯১০ সালের বৈশাখ মাসে পূবে ও পশ্চিমে যে খুব বড় ধূমকেতুটিকে তোমরা অনেক দিন ধরিয়া দেখিয়াছিলে, তাহার নাম হ্যালির ধূমকেতু। হ্যালি সাহেব একজন বড় জ্যোতিষী ছিলেন। তিনি ইহার চলাফেরার কথা আবিষ্কার করিয়াছিলেন বলিয়া তাঁহারই নাম অনুসারে ধূমকেতুটির নাম রাখা হইয়াছিল। ইহাকে নেপ্‌চুন্ গ্রহই সূর্য্য-জগতে বন্দী করিয়া রাখিয়াছে। তাই সে নেপ্‌চুনের কাছ হইতে সূর্য্যের কাছ পর্য্যন্ত একটা লম্বা রাস্তা দিয়া পঁচাত্তর বৎসর অন্তর সূর্য্যকে ঘুরিয়া আসে এবং এক একবার আমাদিগকে দেখা দেয়।

 হ্যালির ধূমকেতুর কথা বলিতে গিয়া হ্যালি সাহেবের কথা মনে পড়িয়া গেল। ইঁহার গল্পটা বলি শুন,—বড় আশ্চর্য্য ব্যাপার! প্রায় একশত সত্তর বৎসর হইল তাঁহার মৃত্যু হইয়াছে কিন্তু আজও তাঁহার কথা কেহ ভুলিতে পারে নাই।

 দুই শত বৎসর পূর্ব্বেকার জ্যোতিষীরা মনে করিতেন, ধূমকেতুর চলাফেরা পরীক্ষা করা বৃথা। ইহাদের সকলেই বুঝি, একবারমাত্র আমাদের দেখা দিয়া চিরকালের জন্য সূর্য্যের রাজ্য ছাড়িয়া চলিয়া যায়। জ্যোতিষীদের এই কথাটি হ্যালি সাহেবের মনের মত হয় নাই। তিনি খুব অঙ্ক জানিতেন,—পুরানো কাগজপত্র ঘাঁটিয়া কোন্ সালের কোন্ তারিখে পৃথিবী হইতে বড় বড় ধূমকেতু দেখা গিয়াছিল, তাহার হিসাব করিতে লাগিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে অঙ্ক কষিতে বসিলেন। হিসাব করিয়া