পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৩০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৮২
গ্রহ-নক্ষত্র

টুক্‌রা হইয়া গিয়াছিল। এই রকমে পৃথিবী ও বৃহস্পতির কাছে লাঞ্ছিত হওয়ার পরে, লেকসেল্ আর সূর্য্য-জগতে পা দেয় নাই।

 তাহা হইলে দেখ, যতই লম্বা হউক না কেন, ধূমকেতুর লেজ বাতাসের চেয়েও হাল্‌কা। গায়ে ঠেকিলে গ্রহ-উপগ্রহদের একটুও ক্ষতি হয় না,—বরং ক্ষতি হয় লেজেরই। জ্যোতিষীরা বলেন, সে বার যখন হ্যালির ধূমকেতুর উদয় হইয়াছিল, সে পৃথিবীর উপরে তাহার লেজ বুলাইয়া দিয়াছিল, কিন্তু পৃথিবীর তাহাতে একটুও লোকসান হয় নাই। ধূমকেতুর লেজের মধ্যে যে আমরা একদিন বাস করিয়াছিলাম, একথাটি পর্য্যন্ত আমরা তখন জানিতে পারি নাই।

 ধূমকেতুর মুণ্ড লেজের চেয়ে ভারি বটে, কিন্তু তাহাতেও সার বা জমাট জিনিস নাই। ধূমকেতুর আর একটা গল্প বলিলে, ইহা তোমরা বুঝিতে পারিবে।

 অনেক দিনের কথা নয়, ইংরাজি ১৮২৬ সালের অর্থাৎ প্রায় একশত বৎসর পূর্ব্বে আমাদের আকাশে একটি বেশ বড় ধূমকেতুর উদয় হইয়াছিল। বায়েলা নামে একজন জ্যোতিষী ইহাকে আবিষ্কার করিয়াছিলেন, এজন্য লোকে ইহাকে বায়েলার ধূমকেতু বলিত। জ্যোতিষীরা হিসাব করিয়া দেখিলেন, এটি ছয় বৎসর নয় মাসে এক একবার সূর্য্যকে প্রদক্ষিণ করিয়া আনাগোনা করে। কাজেই জানা গেল, উহা ১৮৩২ সালে আমাদিগকে আবার একবার দেখা দিবে।

 ফুট্‌বল্ ক্রিকেটের ম্যাচ্ দেখা তোমাদের যেমন একটা বাতিক, আকাশের কোথায় কি হইতেছে খোঁজ করা জ্যোতিষীদের সেই রকম বাতিক। রাত্রিতে আকাশখানিকে পরিষ্কার পাইলে, তাঁহাদের আহার নিদ্রা বন্ধ হইয়া যায়; তথন দূরবীণে চোখ লাগাইয়া কোথায় কি আছে, দেখিতেই তাঁহাদের রাত্রি ভোর