পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৩৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
ধূমকেতুর আকৃতি-প্রকৃতি
১৮৫

আর একখানা পাথরে ঠুকিতে থাক, দেখিবে দু’খানাই গরম হইয়া পড়িয়াছে এবং মাঝে মাঝে তাহাদের গা হইতে আগুনের ফুল্‌কি বাহির হইতেছে। সূর্য্যের আকর্ষণে ধূমকেতুর দেহের পিণ্ডগুলি পরস্পরকে ঠোকাঠকি করিয়া ঠিক্ ঐ দশাই পায়—খুব গরম হইয়া উঠে এবং শেষে দেহের কতক অংশ বাষ্প হইয়া পড়ে। জ্যোতিষীরা বলেন, এই বাষ্পই সম্ভবতঃ লেজের সৃষ্টি করে। তার পরে ধূমকেতুরা যখন সূর্য্যের কাছ হইতে দূরে যাইতে আরম্ভ করে, তখন ঠোকাঠুকির পরিমাণ কমিয়া আসে, কাজেই আর নূতন বাষ্প জন্মিতে পারে না বলিয়া লেজটাও ছোট হইয়া পড়ে।

 ধূমকেতুর হাল্‌কা লেজগুলি কেন সকল সময়ে সূর্য্যের উল্‌টা দিকে থাকে, তোমরা বোধ হয় এখন সেই কথাটি জানিতে চাহিতেছ। কিন্তু এ সম্বন্ধে জ্যোতিষীরা যাহা বলেন, তোমরা বোধ হয় তাহা ভাল বুঝিবে না। এখন কেবল এইটুকু জানিয়া রাখিয়া দাও যে, ধূমকেতুর দেহ হইতে যে বাষ্প বাহির হয় তাহা যখনি সূর্য্যের দিকে যাইতে চায়, সূর্য্য জোর করিয়া তাহাকে দূরে তাড়াইয়া দেয়। কাজেই অন্য কোনো পথ না পাইয়া বাষ্পরাশি সূর্য্যের উল্‌টা দিকেই ছড়াইয়া পড়ে। এই একপাশে-ছড়ানো বাষ্পকেই আমরা দূর হইতে ধূমকেতুর লেজের আকারে দেখিতে থাকি।