পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৩৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

উল্কাপিণ্ড

মেঘ নাই, ধোঁয়া নাই, কুয়াসা নাই, এমন পরিষ্কার রাত্রিতে তোমরা যদি কিছুক্ষণ আকাশের দিকে তাকাইয়া থাক, তখন হয় ত দেখিবে, ফস্ করিয়া একটা নক্ষত্র ছুটিয়া চলিল। এই রকম ঘটনাকে আমরা উল্কাপাত বলি এবং যেগুলি ঐ রকমে ছুটিয়া চলে তাহাদিগকে উল্কাপিণ্ড বলি। লোকে ইহাকে “নক্ষত্র-খসা” বলে এবং নক্ষত্র-খসাকে বড় অমঙ্গলের চিহ্ন মনে করে।

 আমি যখন খুব ছোট ছিলাম তখন আমাদের বাড়িতে এক বুড়ী ঝি ছিল; নক্ষত্র-খসা দেখিলেই সে চোখ বুঁজিয়া দুর্গা কালী প্রভৃতি দেবতাদের নাম করিত, আর পাঁচ রকম ফুলের নাম বলিত। তাহার বিশ্বাস ছিল, পাঁচ ফুলের নাম করিলে নক্ষত্র-খসিয়া জগতের অমঙ্গল করিতে পারে না।

 তোমরা বুঝিতেই পারিতেছ, সাধারণ লোকে যাহাই বলুক্, আকাশের নক্ষত্র খসিয়া কখনই মাটিতে পড়িতে পারে না। এক একটা নক্ষত্র কত বড় জিনিস তোমরা তাহা জান,—তাহাদের সকলেই এক একটা সূর্য্য, অনেকে আবার সূর্য্যের চেয়েও শত শত গুণ বড়। এই রকম একটা জিনিস যদি এই ছোট পৃথিবীতে আসিয়া পড়ে, তাহা হইলে কি ভয়ানক কাণ্ড হয় ভাবিয়া দেখ। পৃথিবী এক সেকেণ্ডে পুড়িয়া ছাই হইয়া যায় না কি?

 জ্যোতিষীরা উল্কাপাত-সম্বন্ধে কি বলেন শুন। তাঁহারা বলেন,