পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৩৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৮৮
গ্রহ-নক্ষত্র

চলিয়াছে, এমন সময়ে একটা উল্কাপিণ্ড পৃথিবীর রাস্তায় আসিয়া দাঁড়াইল। এই উল্কাপিণ্ডকে লইয়া পৃথিবী কি করিবে বলিতে পার কি? পৃথিবীর ভাবগতিক তোমাদের ত জানিতে বাকি নাই। ছোট জিনিসকে কাছে পাইলেই সে টানিয়া মাটিতে ফেলিতে চেষ্টা করে। তুমি যখন খুব জোরে আকাশের উপরে একটা ঢিল ফেল, তথন তাহার কি দশা হয় তোমরা দু’বেলাই দেখিতেছ। পৃথিবী ঢিলকে টানিয়া মাটির উপরে ফেলে। ছোট ছোট উল্কাপিণ্ডগুলিও যখন নিজেদের পথে ছুটিতে ছুটিতে পৃথিবীর কাছে আসিয়া পড়ে, তখন তাহাদেরও ঠিক্ ঢিলের দশাই হয়। পৃথিবী তাহাদিগকে জোরে টানিতে থাকে এবং তাহারা হু হু শব্দে বাতাস ভেদ করিয়া মাটিতে পড়িতে আরম্ভ করে।

 তোমরা আগেই শুনিয়াছ, পৃথিবীর উপরে পঞ্চাশ ষাইট্ মাইল গভীর বাতাসের আবরণ আছে, কাজেই এতটা বাতাস ভেদ করিয়া উল্কাপিণ্ডগুলিকে পৃথিবীতে নামিয়া আসিতে হয়। ইহাতে তাহাদের দশ কি হয় বলিতে পার কি? সেগুলি জ্বলিয়া উঠে এবং জ্বলিতে জ্বলিতে কিছুক্ষণ চলে, তার পরে পথের মাঝে পুড়িয়া ছাই হইয়া নিভিয়া যায়। আমরা পৃথিবী হইতে উল্কাপিণ্ডের ঐ জ্বলা-পোড়াকে হাউই বাজির মত দেখি এবং মনে মনে ভাবি বুঝি নক্ষত্র খসিয়া পড়িতেছে!

 তোমরা হয় ত ভাবিতেছ, বাতাসের ঘসা পাইয়া কেমন করিয়া উল্কাপিণ্ডের মত জিনিস জ্বলিবে? কিন্তু এই রকমে যে অনেক জিনিস জ্বলে ইহা আমাদের জানা কথা।

 কামান বা বন্দুকের মুখ হইতে যখন গোলা বা গুলি বাহির হইয়া ছুটিতে থাকে, তখন তাহা বেশ ঠাণ্ডা থাকে। তোমরা হয় ত বলিবে কামানের ভিতরকার বারুদের আগুন তাহাদিগকে গরম করে। কামানে বা বন্দুকে আগুন হয় বটে, কিন্তু সে আগুন গোলা বা গুলিকে গরম করিতে সময় পায় না। আগুন হইবা মাত্র গোলা বাতাস ভেদ