নক্ষত্র
সূর্য্য-জগতের কথা তোমাদিগকে আগে বলিয়াছি; তার পরে যে-সব টুক্রা-টাক্রা জিনিস কখনো কখনো আমাদের চোখে পড়ে, তাহাদের কথাও বলিলাম। এখন সূর্য্যের রাজ্যের বাহিরে যাহারা আছে, তাহাদের খবর তোমাদিগকে এক-একটু দিব।
রাত্রিতে তোমার আকাশের দিকে চাহিয়া দেখিয়াছ কি? কত হাজার হাজার নক্ষত্র আকাশকে ভরিয়া থাকে! এরা সকলেই সূর্য্য-জগতের বাহিরের জ্যোতিষ্ক। কোনোটা দপ্ দপ্ করিয়া আলো দেয়, কোনোটা মিট্মিট্ করিয়া জ্বলে। তাহাদের রঙই বা কত রকমের। কোনোটার রঙ্ তারা-বাজির মত ধপ্ধপে সাদা, কোনোটা হল্দে, আবার কোনোটা লাল। আকাশের এক এক জায়গায় হয় ত বড় নক্ষত্র দেখিতে পাইবে না; সেখানকার সব নক্ষত্রই ছোট। মাঠের ওপারে কুঁড়ে ঘরটি হইতে প্রদীপের যে একটু আলো আসিতেছে, ইহাদের আলো যেন তাহার চেয়েও অল্প। আকাশের আর এক দিকে চাহিয়া দেখ, সেখানে যেন বড় নক্ষত্রদের বাজার বসিয়া গিয়াছে,—ছোট নক্ষত্রদের মধ্যে অনেকগুলি বড় নক্ষত্র ডগ্ডগ্ করিয়া জ্বলিতেছে!
উপর দিকে তাকাইয়া দেখ,—সাদা জল লইয়া গঙ্গা নদীর মত যেন স্বর্গের একটা নদী আকাশের একধার হইতে আরম্ভ করিয়া মাথার উপর দিয়া আর একধারে মিশিয়াছে এবং তাহার স্রোতে হাজার হাজার তারার ফুল ভাসিতেছে! লোকে ইহাকে ছায়াপথ বলে। বাস্তবিকই ইহা যেন