পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৫০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
২০০
গ্রহ-নক্ষত্র

স্বর্গের পথের মত চলিয়াছে, কিন্তু ইহাতে ছায়া নাই; দেবতাদের পায়ের স্পর্শে ইহার ধূলামাটি সবই আলোর গুঁড়া হইয়া গিয়াছে! কত হাজার হাজার তারা ঐ পথের যাত্রী হইয়া পৃথিবীর দিকে মিটিমিটি চাহিতেছে, দেখিতে পাও না কি? ইহাদের সংখ্যা কত গুণিয়া ঠিক্ করিতে পার কি?

 আকাশের আর এক দিকে তাকাইয়া দেখ,—ঠিক্ যেন কতকগুলি জোনাকী পোকা জড় হইয়া একটা চাক বাঁধিয়াছে এবং তাহার চঞ্চল আলো ধক্ ধক্ করিয়া জ্বলিতেছে; এ যেন আকাশের গলার একখানা ধুক্‌ধুকি! দূরে আকাশের গায়ে যে এক টুক্‌রা সাদা মেঘের মত দেখা যাইতেছে,—তোমরা বোধ হয় ভাবিতেছ উহা মেঘ। কিন্তু তাহা নয়, অতি দূরের নক্ষত্রেরা ঐখানে জটলা পাকাইয়া আছে! তাই তাহাদিগকে পৃথক পৃথক দেখা যাইতেছে না; উহাদের ক্ষীণ আলো জমাট বাঁধিয়া যেন একখণ্ড মেঘের সৃষ্টি করিয়াছে। দূরবীণ দিয়া দেখিলে হাজার হাজার নক্ষত্র ঐ জায়গাতে ফুটিয়া উঠে!

 আকাশের এই মূর্ত্তি কি তোমরা কখনো দেখ নাই? যদি ভাল করিয়া না দেখিয়া থাক,—যে রাত্রিতে আকাশে চাঁদ থাকিবে না, কুয়াসা ধোঁয়া মেঘ কিছুই থাকিবে না,—তখন একবার আকাশখানিকে দেখিয়া লইয়ো। এবং সেই সময়ে মনে মনে ভাবিয়ো, এই যে অসংখ্য নক্ষত্র আকাশের গায়ে রহিয়াছে, তাহারা আলোর বিন্দু নয়,—প্রত্যেকেই এক একটি মহাসূর্য্য; আমাদের সূর্য্যের চেয়ে কেহ কেহ শতগুণ বড় এবং শত শত গুণ বেশি তাপ ও আলো মহাকাশে ছড়ায়!

 তার পরে মনে করিয়ো, এই অসংখ্য মহা-সূর্য্যের কেহই একা আকাশে থাকে না। আমাদের পৃথিবী বৃহস্পতি শনির মত কত লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি গ্রহ-উপগ্রহ তাহাদের চারিদিকে ঘুরিতেছে। ইহাদের দূরত্বই বা কত! হাজার দু’হাজার লক্ষ বা কোটি মাইল দিয়া