পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৫১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
নক্ষত্র
২০১

তাহা মাপা যায় না! ইহাদের সবই যেন আমাদের বুদ্ধি ও জ্ঞানের অগোচর!

 তোমরা যদি এই রকম চিন্তা করিয়া আকাশটিকে দেখিতে পার, তাহা হইলে স্পষ্ট বুঝিবে এই সৃষ্টিখানি কত বড় এবং যিনি এই দৃষ্টিকে শাসনে রাখিয়া চালাইতেছেন, তাঁহার শক্তিই বা কি অপরিমেয়।

 দীপালির দিন আসিয়াছে; সন্ধ্যার সময়ে ঘরে ঘরে শত শত দীপ জ্বলিয়াছে; গ্রামখানি দীপে দীপে আচ্ছন্ন এবং আলোতে আলোতে ভরা! মনে কর এমন এক রাত্রিতে তোমরা বাড়ির ছাদে উঠিয়া আলো দেখিতেছ। এখন যদি দূরের একখানি বাড়ির হাজার প্রদীপের মধ্যে একটি প্রদীপ নিভিয়া যায়, তাহা হইলে তোমরা কি তাহা বুঝিতে পার? কখনই পার না। কারণ তাহাতে আলো কমে না এবং আলোর শ্রেণীও ভাঙে না। প্রত্যেক রাত্রিতেই ত আকাশে দীপালির উৎসব চলিতেছে! জ্যোতিষীরা বলেন, তাহারি কোটি কোটি প্রদীপের মধ্যে আমাদের সূর্য্য একখানি ছোট প্রদীপ! সে যদি তাহার গ্রহ-উপগ্রহদের লইয়া এক দিন হঠাৎ নিভিয়া যায়, তাহা হইলে এই ব্রহ্মাণ্ডের শোভা ও মহিমার একটুও ক্ষয় হইবে না এবং অপর নক্ষত্রে যদি বুদ্ধিমান প্রাণী থাকে, তাহারা হয় ত সূর্য্যের এই অপমৃত্যুর খবরটা পর্য্যন্ত জানিতে পারিবে না। অনন্ত সৃষ্টির তুলনায় আমাদের সূর্য্য কত ছোট ভাবিয়া দেখ। সেই সূর্য্যেরই একটি অতি ছোট গ্রহের কোটি কোটি মানুষের মধ্যে আমরা এক একটি মানুষ!

 তোমরা বোধ হয় ভাবিতেছ, অনন্ত মহাসূর্য্যদের মধ্যে যে মানুষ এত ছোট এবং এত তুচ্ছ, সে আবার অনন্ত ব্রহ্মাণ্ডের খবর দিবে কি করিয়া! সত্যই মানুষ অসংখ্য নক্ষত্রের খবর দিতে পারে না; তাহার বুদ্ধিজ্ঞান যন্ত্রতন্ত্র সৃষ্টির বিশালতা ও সীমা ঠিক্ করিতে গিয়া হার মানে। সে তখন স্তব্ধ হইয়া এই বিশ্বের মহিমা দেখে এবং বিশ্বেশ্বরের