পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২১৮
গ্রহ-নক্ষত্র

আলোর বিন্দু দেখা গেল, এবং হয় ত মাস-খানেক থাকিয়া নিভিয়া গেল। তাহা লইয়া এত হাঙ্গামা কেন। কিন্তু চোখে একটুখানি দেখাইলেও ইহা কখনই সামান্য আগুন নয়। এই সকল অগ্নিকাণ্ড আকাশের কোটি কোটি মাইল জুড়িয়া চলে। কাজেই জ্যোতিষীরা ঘটনাগুলিকে উড়াইয়া দিতে পারেন নাই। কেন আকাশের খালি জায়গায় হঠাৎ এই রকম আলো জ্বলে, তাঁহারা বৎসরের পর বৎসর আলোচনা করিয়া তবে জানিতে পারিয়াছেন।

 যাহা হউক, এসম্বন্ধে জ্যোতিষীরা যাহা বলেন, তাহা বড়ই আশ্চর্য্যজনক। উল্কাপিণ্ডেরা বাতাসের ভিতর দিয়া জোরে নামিবার সময়ে বাতাসের ঘসা পাইয়া জ্বলিয়া উঠে, একথা তোমরা আগেই শুনিয়াছ; পাথরে পাথরে ঠোকালুকি লাগিলে আগুনের ফুল্‌কি বাহির হয়, তাহা হয় ত স্বচক্ষেই দেখিয়াছ। জ্যোতিষীরা বলেন, নূতন নক্ষত্রের তাপ ও আলো সকলি প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড জিনিসের ঠোকাঠুকি হইতে উৎপন্ন হয়।

 তোমরা হয় ত ভাবিতেছ, মহাকাশে আবার এরকম ঠোকাঠুকি হইবে কি রকমে! কিন্তু আকাশে বড় জিনিসের অভাব নাই। যে সব আলোহীন লক্ষ লক্ষ ঠাণ্ডা নক্ষত্র মরিয়া গিয়া ভূতের মত আকাশের অন্ধকারে বেড়াইতেছে, তাহাদের কথা মনে কর। তাহাদের সব গিয়াছে, কেবল গতিটুকুই আছে। কাজেই ভয়ানক বেগে ইহারা যখন পরস্পরকে ধাক্কা দেয়, তখন কি কাণ্ড হয় ভাবিয়া দেখ দেখি। দু’খানা রেলের গাড়ীতে ঠোকাঠুকি হইলে কি হয়, তোমরা শুন নাই কি? তখন একখানা গাড়ীও আস্ত থাকে না। যখন দু’টা বড় বড় মরা নক্ষত্র দু’দিক হইতে ছুটিয়া আসিয়া পরস্পরকে ধাক্কা দেয়, তখন তাহাদেরও ঐ রকম দশা হয়। দু’টাই চুরমার হইয়া ভাঙিয়া যায়। কেবল ইহাই নয়, সঙ্গে সঙ্গে ভয়ানক আগুন জ্বলে এবং আগুনে