পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২৪
গ্রহ-নক্ষত্র

যাইতে পারে, তাহা নীহারিকাগুলিতে মজুত থাকে। তার পরে যখন ঠাণ্ডা হইয়া জমাট বাঁধিতে আরম্ভ করে তখন সেইগুলিই এক একটি সূর্য্য বা নক্ষত্রের সৃষ্টি করিতে থাকে।

 বৃষ্টির জল মাটিতে পড়িলে তাহার অধিকাংশই নদী সমুদ্রে জমা হইয়া ক্রমে বাষ্প হয় এবং সেই বাষ্পই মেঘ হইয়া আবার বৃষ্টির আকারে মাটিতে পড়ে। বৃষ্টি হইতে মেঘ এবং মেঘ হইতে আবার বৃষ্টি, সৃষ্টির প্রথম হইতে চলিতেছে। জীবজন্তু গাছপালা মরিয়া মাটিতে মিশিয়া যায় এবং সেই মাটি হইতে খাদ্য সংগ্রহ করিয়া নূতন জীবজন্তু গাছপালা বাঁচে। প্রকৃতির সব কাজেই এক রকম পুরাতন হইতে নূতনের সৃষ্টি দেখা যায়। গ্রহনক্ষত্র-সূর্য্যদের জন্মমৃত্যুতে সেই নিয়মই চলে। যখন আকাশের মহাসূর্য্যগুলি তাপ ও আলো ব্যয় করিয়া মরিয়া যায়, তখন আমরা ভাবি, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে বুঝি তাহাদের কাজ শেষ হইয়া গেল। কিন্তু তাহা হয় না,—মরা নক্ষত্রেরাই পরস্পরকে ধাক্কাধুক্কি দিয়া আবার জ্বলিয়া উঠে এবং এক একটি নূতন নক্ষত্রের জন্ম দেয়। ভাবিয়া দেখ, বিধাতার কৌশল কি সুন্দর! যাহা পুরাতন এবং সংসারের সকল কাজের অযোগ্য তাহাই মৃত্যুর ভিতর দিয়া নূতনকে জন্ম দেয় এবং তাহাতেই আমাদের এই অপূর্ব্ব সৃষ্টিথানি টিকিয়া থাকে। ইহা আশ্চর্য্য নয় কি?