পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৩২
গ্রহ-নক্ষত্র

থাকিলেও, তাহার জায়গায় জায়গায় নক্ষত্রেরা মিলিয়া যে-সব আকৃতির সৃষ্টি করিয়াছে তাহা আছে। জ্যোতিষীরা এই সব আকৃতিকে মনে রাখিয়া আকাশকে নানা অংশে ভাগ করেন এবং কতকগুলি নক্ষত্র একত্র হইয়া আকাশের যেখানে একটা ভেড়ার মত চেহারা পাইয়াছে, তাহাকে মেষরাশি বলেন; যেখানে ষাঁড়ের মত চেহারা পাইয়াছে তাহাকে বৃষরাশি বলেন এবং যেখানে বিছার মত আকৃতি করিয়াছে তাহাকে বৃশ্চিকরাশি বলেন। এই রকম রাশিতে এবং নক্ষত্র-মণ্ডলে সমস্ত আকাশ ভাগ করা রহিয়াছে। কেবল ইহাই নহে, কোন্ কোন্ নক্ষত্র মিলিয়া আকাশের কোন্ অংশে মেষ, বৃষ, বিছা প্রভৃতির মত হইয়া আছে, জ্যোতিষীরা তাহাও ম্যাপে আঁকিয়া রাখেন। যাহারা নক্ষত্র চিনিতে চায়, তাহাদিগকে সেই ম্যাপ দেখাইয়া আকাশের কোথায় মেষরাশি, কোথায় বৃষরাশি আছে, তাহা দেখাইয়া দেন।

 তাহা হইলে বুঝা যাইতেছে নক্ষত্র চেনা খুব শক্ত নয়। মনে কর, কেহ জিজ্ঞাসা করিল, জাপানের টোকিয়ো সহর কোথায়? যাহার ভূগোল জানা আছে, সে কানাডা বেল্‌জিয়ম্ ইংলণ্ড বা চীন দেশে খোঁজ না করিয়া, প্রথমেই জাপান দেশটিকে ম্যাপে দেখে এবং শেষে টোকিয়ো সহরকে আঙুল দিয়া দেখায়। সেই রকম যদি কেহ জিজ্ঞাসা করে বৃষরাশির রোহিণী নক্ষত্র কোথায়,—তাহা হইলে যাহার নক্ষত্র চেনা আছে, সে কোনো দিকে না তাকাইয়া আকাশের যেখানে বৃষরাশি আছে, তাহার খোঁজ করে এবং তার পরে সেখানে রোহিণী নক্ষত্রকে ধরিয়া ফেলে।

 পৃথিবীতে রাজার সংখ্যা খুব বেশি নয়, কাজেই রাজ্যের সংখ্যাও বেশি নয়। কিন্তু জ্যোতিষীরা আকাশকে যে-সব মণ্ডল বা রাশিতে ভাগ করিয়াছেন, তাহার সংখ্যা অনেক। ক্যাল্‌ডিয়ান্ নামে এক অতি প্রাচীন জাতি নক্ষত্রদের লইয়া সর্ব্বপ্রথমে নানা আকৃতির