পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নক্ষত্র চেনা
২৩৩

কল্পনা করিতেন। মেষপালন ইঁহাদের কাজ ছিল। তাঁহারা এখনকার লোকদের মত লেখাপড়া জানিতেন না এবং গ্রহ-নক্ষত্রদের গতিবিধির কথাও বুঝিতেন না। বাঘ-ভল্লুকের মুখ হইতে ভেড়াগুলিকে রক্ষা করিবার জন্য তাঁহারা খোলা মাঠের মধ্যে শুইয়া রাত জাগিয়া পাহারা দিতেন এবং নক্ষত্রদের দেখিয়া তাহাদের এক-একটা আকৃতি কল্পনা করিতেন। এই রকমে তাঁহারা সিংহ ভল্লুক ছাগল কুকুর প্রভৃতি জীবজন্তুর নামে আকাশকে অনেক ভাগে ভাগ করিয়া ফেলিয়াছিলেন। আজকালকার জ্যোতিষীরা সেই ক্যাল্‌ডিয়ান্‌দেরই ভাগকে মানিয়া চলিতেছেন। আমরা তোমাদিগকে আকাশের সকল নক্ষত্র-মণ্ডলের কথা বলিব না, কেবল প্রধান প্রধান গোটাকতককে চিনিবার উপায় বলিয়া দিব।

 তোমরা উত্তর-আকাশের সপ্তর্ষি নামে নক্ষত্র মণ্ডলকে দেখিয়াছ

সপ্তর্ষিমণ্ডল

কি? সাতটি বড় বড় নক্ষত্রকে লইয়া এই মণ্ডলটি হইয়াছে। এখানে সপ্তর্ষিমণ্ডলের একটা ছবি দিলাম। ইহার সাতটি নক্ষত্র কেমন সুন্দরভাবে সাজান আছে দেখিতেছ। যখন উত্তর-আকাশে সপ্তর্ষির উদয় হয়, তখন নক্ষত্রগুলিকে ঐ রকমেই সাজানো দেখা যায়।

 চৈত্র-বৈশাখ মাসে সন্ধ্যার সময়ে তোমরা এই মণ্ডলকে উত্তর আকাশের খুব উপর দিকে দেখিতে পাইবে এবং জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাস হইতে তাহাকে এক-একটু করিয়া পশ্চিমে হেলিতে দেখিবে। তার