পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নক্ষত্র চেনা
২৩৫

খুব ভাল তাহারাই অরুন্ধতীকে দেখিতে পায়। তোমরা নিশ্চয়ই চেষ্টা করিলে দেখিতে পাইবে।

 তোমরা ধ্রুব-তারার বোধ হয় নাম শুনিয়াছ। সব তারা রাত্রিতে সরিতে সরিতে পশ্চিমে অস্ত যায়, কিন্তু ধ্রুব তারার অস্ত নাই,—উদয়ও নাই। আজ তাহাকে যেখানে দেখিতেছ, এক শত বৎসর পরে, হয় ত হাজার বৎসরও পরে তাহাকে ঠিক সেই জায়গাতেই দেখা যাইবে। সপ্তর্ষি দিয়া এই তারাটিকে বেশ চেনা যায়। ছবিতে সপ্তর্ষির “ক” ও “খ” নামে যে দুটি তারা দেখিতেছ, তাহারা ধ্রুব নক্ষত্রের সহিত সর্ব্বদাই প্রায় এক রেখায় থাকে।

 “ক” ও “খ”কে যোগ করিয়া তোমরা মনে মনে একটা রেখা কল্পনা কর এবং তার পরে এই রেখাকে নীচের দিকে বাড়াইয়া দাও। এই রকম করিলে রেখাটিকে একটি মাঝারি রকমের উজ্জ্বল নক্ষত্রের কাছ দিয়া যাইতে দেখিবে। এই নক্ষত্রটিই ধ্রুব-তারা। ইহা পৃথিবী হইতে অনেক দূরে আছে; সে দূরত্ব এত বেশি যে তাহার আলো পৃথিবীতে আসিয়া পড়িতে পথের মাঝেই সাতচল্লিশ বৎসর কাটাইয়া দেয়।

 ধ্রুব-তারা আকাশের ঠিক্ উত্তরে থাকে এবং সপ্তর্ষিমণ্ডলও উত্তর আকাশে ঘুরিয়া বেড়ায়। যদি গাড়ীতে বা নৌকায় যাইতে যাইতে রাত্রির অন্ধকারে তোমাদের কখনও পথ ভুল হইয়া যায়, তাহা হইলে এই সব নক্ষত্রদের দেখিয়া তোমরা অনায়াসে দিক্ ঠিক করিতে পারিবে। অকূল সমুদ্রে যখন জাহাজ চলে, রাত্রির অন্ধকারে দিক্ ঠিক করা বড় কঠিন হয়। জাহাজের কাপ্তেনেরা এই রকমে নক্ষত্র দেখিয়াই পথ চিনিয়া লন। দিনের বেলায় যখন তারা দেখা যায় না, তখন সূর্য্যকে দেখিয়া দিক্ ঠিক করিতে হয়।

 উত্তর আকাশে ক্যাসোপিয়া (Cassiopeia) নামে একটা বড়