পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪২
গ্রহ-নক্ষত্র

ক্যাসোপিয়া, রাজ-জামাতা পার্সুস্ এবং রাজকন্যা এন্‌ড্রোমিডা মৃত্যুর পর এক-একটা নক্ষত্রমণ্ডল হইয়া আকাশে রহিয়াছেন।

 সিফস্ এবং হাইড্রাও উত্তর-আকাশের দুই স্থানে আছে। তোমর যখন নক্ষত্রের বড় ম্যাপ দেখিয়া তারা চিনিতে শিখিবে, তখন ঐ দুইটি নক্ষত্র-মণ্ডলকে দেখিতে পাইবে।

 যাহা হউক এখন অন্য নক্ষত্র-মণ্ডলের পরিচয় দেওয়া যাউক। পূর্ব্ব পৃষ্ঠায় একটা ছবি দিলাম। দেখিলেই বুঝিবে, ছবিতে ধ্রুব-তারা ও ক্যাসোপিয়া আছে। তার পরে পার্সুসের সেই তিনটি তারাও আছে। কিন্তু পার্সুস্-মণ্ডল এখানে শেষ হয় নাই। ছবিতে দেখিবে, একগাছি মালার মত বাঁকিয়া গিয়া পার্সুসের অপর তারাগুলি “সাতভাই” মণ্ডলে ঠেকিয়াছে।

 “সাত ভাইকে” তোমরা আকাশে দেখ নাই কি? কেহ কেহ ইহাকে “সাত বোন্”ও বলে। অগ্রহায়ণ মাসে সন্ধ্যার পরে ইহাকে পূর্ব্ব-আকাশে দেখিতে পাইবে। দেখিলে বোধ হইবে, যেন কতকগুলি জোনাকী পোকা জড় হইয়া মিট্‌মিট্ করিতেছে। চেষ্টা করিলে তোমরা ইহাতে অনায়াসে ছয়টি তারা গুণিয়া বাহির করিতে পারিবে। দূরবীণে কিন্তু “সাত ভাইয়ে” প্রায় চারিশত নক্ষত্র দেখা যায়। আমাদের দেশের প্রাচীন জ্যোতিষীরা এই সব নক্ষত্রকে কৃত্তিকা-রাশি বলিতেন। ইহা বৃষরাশিরই একটা এংশ

 কৃত্তিকা অর্থাৎ “সাত-ভাইয়ের” নীচেই তোমরা রোহিণীকে দেখিতে পাইবে। এটি লাল রঙের বেশ একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিন কোণার মত যে একটু জায়গায় অনেকগুলি নক্ষত্রকে জটলা করিতে দেখিবে, সেখানেই রোহিণীকে খুঁজিয়া পাইবে। আমাদের প্রাচীন জ্যোতিষীরা বলিতেন, রোহিণী চন্দ্রের স্ত্রী এবং বুধ গ্রহটি রোহিণী ও চন্দ্রের পুত্র।

 তোমরা আকাশে “কালপুরুষ” নামক নক্ষত্রমণ্ডলকে দেখিয়াছ কি?