পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪৪
গ্রহ-নক্ষত্র

 “সাতভাই” সম্বন্ধে অনেক গল্প শুনা যায়। “সাতভাই”কে আমাদের দেশের কোনো কোনো জ্যোতিষী “মাতৃমণ্ডল” নাম দিয়াছেন। সাধারণ লোকের বিশ্বাস ছিল, মাতৃমণ্ডলের ছয়টি তারা সপ্তর্ষি-মণ্ডলের ছয়জন ঋষির স্ত্রী। “কালপুরুষকে” লইয়া যে গল্প আছে, তাহা আবার অন্য রকম। প্রজাপতি ও ঊষা নামে দুইটি দেবতার কথা আমাদের অতি প্রাচীন ধর্ম্মগ্রন্থ বেদে লেখা আছে। গল্পে শুনা যায়, প্রজাপতি ও ঊষা হরিণের আকৃতি লইয়া নাকি কালপুরুষদের তারার মধ্যে লুকাইয়া আছে।

 ঐ দুই নক্ষত্রমণ্ডল-সম্বন্ধে ইংরাজিতে যে গল্প আছে, তাহা বড় মজার।

 আমাদের সরস্বতী যেমন বিদ্যার দেবতা, গ্রীকদের ডিয়ানা নামে সেই রকম এক দেবী ছিলেন। তাঁহাকে সকলে চন্দ্র-সূর্য্যের আলোর দেবতা বলিয়াও মানিত। ডিয়ানার ছয় জন সখী ছিল। তাহাদের কাজকর্ম্ম বেশি ছিল না; এইজন্য ডিয়ানা দেবী রাত্রিতে ঘুমাইয়া পড়িলে তাহারা জ্যোৎস্নার আলোতে পাহাড়-পর্ব্বতে বেড়াইয়া গান করিত ও নাচিত।

 এই সময়ে গ্রীস দেশে ওরায়েন্ নামে একজন ব্যাধ ছিল। সে পাহাড়-পর্ব্বতে শিকার করিয়া বেড়াইত। একদিন ঐ ছয় সখীদের সঙ্গে ওরায়নের দেখা হইয়া গেল। তাহার হাতে ধনুক-বাণ ঢাল-তলোয়ার ছিল, তার উপরে চেহারাটাও যমদূতের মত ভয়ানক ছিল। এই সব দেখিয়া শুনিয়া সখীরা ভয় পাইয়া পলাইতে লাগিল। ওরায়েন্ ভাবিল এ কি কাণ্ড! উহারা দৌড়ায় কেন? সে মজা দেখিবার জন্য সখীদের পিছনে দৌড়িতে লাগিল কিন্তু তাহাদের ধরিতে পারিল না। ধরা পড়িবার আগেই ছয় সখী ছয়টি পায়রার মূর্ত্তি গ্রহণ করিয়া আকাশে উড়িতে লাগিল এবং দেখিতে দেথিতে অনেক উপরে উঠিয়া ছয়টি