পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪৮
গ্রহ-নক্ষত্র

তাহাও ঠিক্ করিলেন। অশ্বিনী, ভরণী, কৃত্তিকা, রোহিণী, মৃগশিরা, আর্দ্রা, পুনর্ব্বসু, পুষ্যা, অশ্লেষা, মঘা, পূর্ব্বফল্গুনী, উত্তরফল্গুনী, হস্তা, চিত্রা, স্বাতি, বিশাখা, অনুরাধা, জ্যেষ্ঠা, মূলা, পূর্ব্বাষাঢ়া, উত্তরাষাঢ়া, শ্রবণা, ধনিষ্ঠা, শতভিষা, পূর্ব্ব-ভাদ্রপদা, উত্তরভাদ্রপদা এবং রেবতী—এই সাতাইশটি নাম তোমরা বোধ হয় বাংলা পাঁজিতে দেখিয়াছ। এগুলিই চাঁদের সাতাইশ দিনের পথের সাতাইশটি নক্ষত্র-মণ্ডলের নাম। সাধারণতঃ ইহাদিগকে “নক্ষত্র” বলা হয়।

 আমাদের প্রাচীন জ্যোতিষীরা এই রকম নাম দিয়াই ছাড়েন নাই, প্রত্যেক নক্ষত্রের তারাগুলি একত্র হইয়া কিরকম আকৃতি পাইয়াছে তাঁহারা আঁকিয়া লোকদের বুঝাইয়াছেন এবং এক একটা নক্ষত্রের অধিকারে চাঁদ প্রতিদিন কতক্ষণ করিয়া থাকে, তাহাও পাঁজিতে লিখিয়া রাখিবার ব্যবস্থা করিয়াছেন।

 মনে কর, ১৩২১ সালের পাঁজিতে ৭ই পৌষ তারিখের বিবরণটা আমরা দেখিতেছি। পাঁজিতে লেখা আছে, সে দিন রাত্রি চারিটা চৌত্রিশ মিনিট পর্য্যন্ত শতভিষা নক্ষত্র। ইহা দেখিলেই বুঝিতে হইবে, ৭ই পৌষে চাঁদ আকাশের শতভিষা নক্ষত্রমণ্ডলে চারিটা চৌত্রিশ মিনিট পর্য্যন্ত ছিল এবং তাহার পরেই সে পূর্ব্বভাদ্রপদা নক্ষত্রে পা দিয়াছিল।

 তাহা হইলে দেখ,—অশ্বিনী, ভরণী প্রভৃতি নামগুলা পাঁজিতে বৃথা লেখা হয় নাই। নামের অর্থ যাহাই হউক, নামগুলি চাঁদের পথের তারাদের আকৃতি চিনাইয়া দেয়। যদি জ্যোতিষ-জানা কাহাকে কাছে পাও, তবে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি তোমাদিগকে চাঁদের পথটি আকাশের গায়ে ঠিক্ দেখাইয়া দিতে পারিবেন; তখন অশ্বিনী, ভরণী প্রভৃতি নক্ষত্রেরা কোথায় আছে তোমরা চিনিতে পারিবে।

 সাধারণ লোকে এই সাতাইশটি নক্ষত্রকে কি বলে, বোধ হয়