পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৩১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৫৪
গ্রহ-নক্ষত্র

আমরা যেমন তিন বৎসর অন্তর এক একটা চান্দ্র-মাসকে বাদ দিই, মুসলমানেরা তাহা করেন না। এই জন্য ইঁহাদের পূজাপার্ব্বণ ঠিক্ একই ঋতুতে হয় না। ইদ্ ও মহরম মুসলমানদের বড় পার্ব্বণ। চান্দ্র-মাস হিসাবে দিন স্থির করা হয় বলিয়া এ গুলি বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ প্রভৃতি সকল মাসের মধ্যেই ঘুরিয়া বেড়ায়।

 তাহা হইলে বোধ হয় বুঝিতে পারিলে, আমাদের পাঁজিতে প্রতিপদ দ্বিতীয় তৃতীয়া প্রভৃতি যে সকল তিথির কথা লেখা আছে, তাহা অর্থশূন্য নয় এবং মলমাস বলিয়া যে একটা কথা আছে, তাহাও একবারে নিরর্থক নয়। আকাশের নক্ষত্রদের মধ্যে চন্দ্রের গতি লইয়াই এ গুলির হিসাবপত্র করিতে হইয়াছিল।

 আমাদের প্রাচীন জ্যোতিষীরা চাঁদের গতিবিধি সম্বন্ধে যাহা আবিষ্কার করিয়াছিলেন, তাহার একটু আভাস দিলাম। সূর্য্য-সম্বন্ধে তাঁহাদের কি জানা ছিল এখন তাহারি কথা তোমাদিগকে কিছু বলিব। সূর্য্য আকাশে স্থির হইয়া দাঁড়াইয়া আছে এবং পৃথিবী প্রায় তিন শত পঁইষট্টি দিনে তাহাকে ঘুরিয়া আসিতেছে, একথা তোমরা বার বার শুনিয়াছ। সূর্য্যের উদয়-অস্ত কি রকমে হয় তাহাও তোমরা জান। পৃথিবী চব্বিশ ঘণ্টায় নিজের মেরুদণ্ডের চারিদিকে একবার ঘুরপাক্ খায়, তাই মনে হয় যেন সূর্য্য পূর্ব্বদিকে উঠিয়া পশ্চিমে অস্ত যায়।

 কিন্তু সূর্য্য কি বারো মাসই আকাশের উপরকার ঠিক্ এক পথ দিয়াই পূর্ব্ব হইতে পশ্চিমে যায়? তাহা কখনই যায় না। গ্রীষ্মকালে সূর্য্য ঠিক্ মাথার উপর দিয়া চলে এবং শীতকালে সেই সূর্য্যই দক্ষিণ আকাশের দিকে হেলিয়া পশ্চিম দিকে যায়। ইহা কি তোমরা দেখ নাই? তোমাদের বাড়িতে যদি দক্ষিণ দিকে খোলা বারান্দা থাকে, তবে দেখিতে পাইবে শীতকালে বারান্দার ভিতরে রৌদ্র আসে। তখন ভোর বেলায় রৌদ্রে পিঠ দিয়া তোমরা বারান্দায় বসিয়াই হয় ত রোদ্