পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমাদের জ্যোতিষ
২৫৭

তালগাছ, তার পরে কুঁড়ে ঘর, তার পরে নিশান, ধানের ক্ষেত ইত্যাদি বারোটা জিনিসের গায়ে মন্দিরকে একে একে দেখিতে পাইবে।

 এই উদাহরণের কথাটা যদি বুঝিয়া থাক, তাহা হইলে নক্ষত্রদের ভিতর দিয়া সূর্য্যের গতির কথাও তোমরা বুঝিবে। তুমি যেমন গোল রাস্তায় চলিয়া মন্দির প্রদক্ষিণ করিলে, আমাদের পৃথিবীও তেমনি আকাশের উপরকার এক গোল রাস্তায় চলিয়া সূর্য্যকে প্রদক্ষিণ করিয়া আসে। পৃথিবীর রাস্তার বাহিরে অবশ্য গাছপালা ঘরবাড়ী কিছুই থাকে না; থাকে কেবল নক্ষত্রমণ্ডল। কাজেই তুমি যেমন মন্দিরটিকে একবার তালগাছের গায়ে, তার পরে কুঁড়ে ঘরের উপরে একে একে দেখিলে, পৃথিবী হইতে সূর্য্যকে ঠিক্ তেমনি করিয়া একবার এক নক্ষত্রমণ্ডলে, তার পর আর এক নূতন নক্ষত্রমণ্ডলে পরে পরে দেখা যায়।

 তুমি কতক্ষণে ছবির গোল রাস্তা দিয়া মন্দিরকে ঘুরিয়া আসিতে পার জানি না। কিন্তু পৃথিবী এক বৎসরে তাহার গোল রাস্তা দিয়া সূর্য্যকে ঘুরিয়া আসে। কাজেই আমরা পৃথিবীতে থাকিয়া আকাশের নানা নক্ষত্র-মণ্ডলের উপর দিয়া সূর্য্যকে এক বৎসরে ঘুরিয়া আসিতে দেখি। নক্ষত্র-মণ্ডলের উপর দিয়া সূর্য্যের এই পথটাকে রাশিচক্র বলা হয়।

 জ্যোতিষীরা রাশিচক্র অর্থাৎ সূর্য্যের রাস্তার উপরকার সব নক্ষত্রদের চিনিয়া রাখিয়াছেন এবং রাস্তাটিকে বারোটা ভাগ করিয়া প্রত্যেক ভাগের নক্ষত্রমণ্ডলের এক-একটা নামও দিয়াছেন। বৈশাখ মাসে সূর্য্য রাশিচক্রের যে অংশটুকু ধরিয়া চলে তাহার নাম মেষ রাশি, জ্যৈষ্ঠ মাসের অংশ বৃষ রাশি, আষাঢ় মাসের অংশ মিথুন রাশি ইত্যাদি।

 তাহা হইলে বুঝিতে পারিতেছ, গাড়ীর চাকার মত ছবি আঁকিয়া তাহাতে মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বিছা, ধনু, মকর,