পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৫১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
সূর্য্যের কলঙ্ক
২৯

কালো কালো দাগের মত দেখা দেয় এবং তার পরে আবার ধীরে ধীরে মিলাইয়া যায়। এগুলি বড় মজার জিনিস। যদি ছোটখাটো দূরবীণ দিয়া সূর্য্যকে দেখার সুবিধা পাও, তবে একবার সূর্য্যের কলঙ্ক দেখিয়া লইও। সূর্য্যের কোনো-না-কোনো অংশে এই কলঙ্ক প্রায় সকল সময়েই দেখা যায়।

 কি রকমে এই সকল কলঙ্কের সৃষ্টি হয়, এখন দেখা যাউক।

 আমাদের আকাশ এক এক সময়ে মেঘে কি-রকম ঢাকা থাকে, তাহা তোমরা দেখিয়াছ। সে সময়ে যদি একটা প্রকাণ্ড ঝড় উঠে, তবে মেঘের অবস্থা কি-রকম হয়, তাহা লক্ষ্য করিয়াছ কি?—ঝড়ে মেঘ উড়াইয়া লইয়া যায়, তখন হয় ত মেঘের ফাঁক দিয়া নীল আকাশ দেখা যায় এবং মেঘেরা এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করিতে থাকে।

 মেঘ হইয়াছে এবং ঝড় উঠিয়াছে; মনে কর, এমন সময়ে তুমি একটা ব্যোমযান বা এরোপ্লেনে চড়িয়া মেঘ ও ঝড় ছাড়িয়া আকাশের খুব উপরে ভাসিয়া বেড়াইতেছ। তখন তুমি নীচের দিকে তাকাইলে কি দেখিবে?—তোমার এরোপ্লেনের নীচে যে ঘর-বাড়ী, বন-জঙ্গল, পাহাড়-পর্ব্বত আছে, তাহা তোমার নজরেই পড়িবে না; কারণ, এরোপ্লেনের নীচে যে মেঘ আছে, তাহা তোমার দৃষ্টি আট্‌কাইয়া দিবে। মনে কর, একটা দম্‌কা হাওয়া আসিয়া যেন নীচেকার মেঘের কতক অংশ উড়াইয়া দিল। এখন তুমি মেঘের এই ফাঁক দিয়া নিশ্চয় নীচের ঘর-বাড়ী বন-জঙ্গল সব দেখিতে পাইবে। এরোপ্লেনে চড়িয়া সমস্ত পৃথিবীটাকে যে সাদা মেঘের আবরণে ঢাকা দেখিয়াছিলে, কতক কতক মেঘ ঝড়ে উড়িয়া যাওয়ায়, তাহার স্থানে স্থানে যেন এক-একটা গর্ত্ত হইয়া পড়িবে এবং এই গর্ত্তের ভিতর দিয়া পৃথিবীর উপরকার গাছ-পালাকে কালো কালো দেখাইবে। সূর্য্যের দেহে যে কলঙ্ক দেখা