পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৫৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

সূর্য্যের গ্রহণ

সূর্য্যের আকাশের আরো দুইটা আবরণ আছে। তাহাদের কথা এখনো বলা হয় নাই। সে-সব কথা বলিবার পূর্ব্বে সূর্য্যের গ্রহণের কথা তোমাদিগকে বলিয়া লইব।

 তোমরা অবশ্যই সূর্য্য-গ্রহণ দেখিয়াছ। গ্রহণের সময়ে কত দূরদেশ হইতে যাত্রী আসিয়া গঙ্গায় স্নান করে, আহ্নিক-পূজা করে। পাঁজিতে গ্রহণের সময় ঠিক লেখা থাকে। লোকে ঘড়ি খুলিয়া সেই সময়টার জন্য প্রতীক্ষা করে। আকাশে একটুও যে নাই, অথচ দেখা যায়, একটু একটু করিয়া সূর্য্যের দেহটা ঢাকা পড়িয়া যাইতেছে। আমরা যখন তোমাদের মত ছোট ছিলাম, তখন প্রদীপের শিখার কালী কাচে লাগাইয়া, সূর্য্যের গ্রহণ দেখিতাম। সূর্য্য এত উজ্জ্বল যে, খালি চোখে তার দিকে তাকানো যায় না, তাকাইলেও চোখ খারাপ হয়। কালী-লাগানো কাচের মধ্য দিয়া দেখিলে সূর্য্যের অনেকটা আলো কাচে আট্‌কাইয়া যায়; তখন তাহাকে ঠিক চাঁদখানির মত দেখা গিয়া থাকে। দূরবীণ দিয়া দেখিবার সময়েও এই-রকম কালী-মাখানো কাচ দিয়া সূর্য্যকে দেখিতে হয়।

 যাহা হউক, গ্রহণ দেখিয়া আমরা খুব আমোদ পাইতাম; তখন একটু একটু ভয়ও হইত। কোথায় কিছু নাই, দিন-দুপরে সূর্য্য এমন ক্ষয় পাইয়া যায় কেন, এই কথাই মনে হইত। তার পরে যখন দেখিতাম, দুপরে ঠিক বিকালের মত অন্ধকার হইয়া পড়িয়াছে, পাখীরা বাসায় যাইবার জন্য চেঁচামেচি আরম্ভ করিয়াছে, চারিদিকের কাঁসর-ঘণ্টা ও খোল-করতালের শব্দে কান পাতা যাইতেছে না, তথন আরো ভয় হইত। প্রায় কুড়ি বৎসর আগে আমরা একটা খুব বড় সূর্য্য-গ্রহণ