পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৭৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৫২
গ্রহ-নক্ষত্র

পড়িতেছে। বাকি সবই মহা-আকাশের মহাশূন্যে ছড়াইয়া পড়িতেছে। কিন্তু এই একটুখানি তাপের যে কত তেজ, তাহা প্রতিদিনই তোমরা দেখিতে পাও। সূর্য্যের তাপে খাল-বিল, নদী-নালা সব শুকাইয়া যায়, এক এক সময়ে এত তাপ হয় যে, ছাতা মাথায় দিয়াও দুপরে ঘরের বাহির হওয়া যায় না। এত দূরে থাকিয়া যে এত তাপ দিতে পারে, তাহার কাছে গেলে যে কত তাপ পাওয়া যায়, এখন তোমরা ভাবিয়া দেখ!

 জ্যোতিষীরা ও বৈজ্ঞানিকেরা বড় মজার লোক। তাঁহারা যাহা দেখেন ও যাহা শুনেন, তাহা লইয়া হিসাব-পত্রে বসিয়া যান। কত পরীক্ষা ও কত অঙ্ক কষার পরে তবে তাঁহাদের হিসাব-পত্র ঠিক হয়। সমস্ত সূর্য্যটা কত তাপ ছাড়িতেছে, জ্যোতিষীরা অনেক অঙ্ক কষিয়া অনেক পরীক্ষা করিয়া স্থির করিয়াছেন। একটা হিসাবে একজন জ্যোতিষী বলিয়াছেন, যদি সমস্ত সূর্য্যটাকে পঞ্চাশ হাত গভীর বরফ দিয়া মোড়া যায়, তাহা হইলে সূর্য্য নিজের তাপ দিয়া এই পঞ্চাশ হাত বরফের আবরণ এক মিনিটে গলাইয়া দিতে পারে। ভাবিয়া দেখ কি ভয়ানক তাপ! আর একটা হিসাবের কথা বলি। দুই হাত লম্বা ও দুই হাত চওড়া জায়গা যে কত ছোট তোমরা নিজে তাহা মাপিয়া দেখিতে পার। এতটুকু জায়গায় তোমাদের মত দুই জন মানুষ হয় ত কোনো গতিকে বসিয়া থাকিতে পারে মাত্র। সূর্য্যের উপরকার এতটুকু ছোট জায়গা হইতে এক ঘণ্টায় যে তাপ বাহির হয়, আমাদের এখানে একশত সত্তর মণ কয়লা না পুড়াইলে তাহা পাওয়া যায় না। ভাবিয়া দেখ, কত কোটি কোটি মণ কয়লা পুড়াইলে তবে সূর্য্যের তাপের মত তাপ আমরা এক ঘণ্টার জন্য সৃষ্টি করিতে পারি।

 এখন তোমরা জিজ্ঞাসা করিতে পার, সূর্য্য যে ক্রমাগত এই রকম ভয়ানক তাপ ছাড়িতেছে, সে তাপ কোথা হইতে আসে? উনুনে