পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/৮৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

চাঁদ

এখন চাঁদের কথা বলা যাউক। তোমাদিগকে আগেই বলিয়াছি, পৃথিবী যেমন সূর্য্যের চারিদিকে ঘোরে, চাঁদ সেই-রকম পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরিয়া বেড়ায়। এজন্য পৃথিবী গ্রহ, এবং চাঁদ তাহার উপগ্রহ। সে যেন পৃথিবীরই অধীনে আছে, পৃথিবী তাহাকে টানিয়া নিজের চারিদিকে ঘুরাইয়া লইয়া বেড়াইতেছে। কিন্তু তাই বলিয়া চাঁদের সঙ্গে সূর্য্যের যে কোনো সম্বন্ধ নাই, এ কথা বলা যায় না। কারণ পৃথিবীর চারিদিকে যখন চাঁদ ঘুরে, তখন পৃথিবী তাহাকে সঙ্গে লইয়া সূর্য্যকে ঘুরিতে থাকে। এজন্য চাঁদের গতিটা বড়ই গোলমেলে রকমের।

 একটা উদাহরণ দিয়া চাঁদের গতিটা বুঝানো যাক্। মনে কর, তুমি যেন সূর্য্য হইয়া মাঝে দাঁড়াইয়া আছ, আর তোমার সেই বন্ধু ধরণী তোমার চারিদিকে পৃথিবী সাজিয়া ঘুরিতেছে। (পর পৃষ্ঠার ছবি দেখ)। এখন চাঁদ হইবে কে? যে চাঁদ হইবে, তাহাকে কিন্তু ধরণীর চারিদিকে ঘুরিতে হইবে। আচ্ছা, একটা কাজ করা যাক্, ধরণীকে বলা যাউক, সে যেন একটা ঢিলে দড়ি বাঁধিয়া ঘুরাইতে থাকে। ধরণ ঢিলে দড়ি বাঁধিল এবং তাহার মাথার চারিদিকে সেই ঢিলটাকে ঘুরাইতে লাগিল, আবার সঙ্গে সঙ্গে সে তোমারও চারিদিকে ঘুরিতে লাগিল। কাজেই চাঁদ যেমন পৃথিবীকে ঘুরিতে ঘুরিতে সূর্য্যের চারিদিকে ঘুরিয়া আসে, এখানে দড়িতে-বাঁধা ঢিলটাও সেই রকম ধরণীর চারিদিকে ঘুরিতে ঘুরিতে তোমাকেও ঘুরিয়া আসিল। তাহা হইলে এই ঢিলের গতি ঠিক্ চাঁদের মতই হইল না কি?