পাতা:গ্রাম্য উপাখ্যান - রাজনারায়ণ বসু.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G8 ७ाभJ ठ9iांशJान । ও কঁকড়া না খায়।” কিন্তু রামসুন্দর বসুর পৌত্র ভূতপূর্ব হিন্দু কলেজের ছাত্র রামনারায়ণ বসু বাল্যকালে আমাদিগের সঙ্গে পুষ্করিণী হইতে দশরথ ধরিয়া তাহা পোড়াইয় তাহাতে নুন তেল মাখিয়া খাইয় তাহার পিতামহের আদেশ। কতবার লজঘন করিয়া বৃদ্ধের প্ৰেতত্মাকে কষ্ট দিয়াছেন তাহা বলা যায় না। রামসুন্দর বসু ভগবদগীতা বাঙ্গলা গদ্যে অনুবাদ করেন। সংস্কৃত মূল সহ সেই অনুবাদ রামনারায়ণ বাবুর নিকট এখনও আছে। ইংরাজেরা যেমন বাইবেলে আপনার সন্তানদিগের জন্মদিবস লিখিয়া রাখেন, তিনি সেইরূপ ঐ ভগবদগীতাতে আপনার সন্তানদিগের জন্মদিবস লিখিয়া রাখিয়াছেন । রামপ্ৰসাদ বসু ও রামসুন্দর বসুর নাম এখন পৰ্য্যন্ত বাদল গ্রামে অতি প্ৰসিদ্ধ। বাদল গ্রামের লোকে ঐ দুই জনকে প্ৰাতঃস্মরণীয় ব্যক্তি জ্ঞান করে । মধুসুদন বসু। রামসুন্দর বসুর দুই সংসার । তাহার জ্যেষ্ঠ পত্নীর গর্ভে মধুসুদন বসু জন্ম গ্ৰহণ করেন। মধুসুদন বসু পাঠকবর্গের পরিচিত রামনারায়ণ বাবুর জেঠা । রামনারায়ণ বাবু যখন নিতান্ত বালক তখন মধুসুদন বসু তঁহাকে হাঁটুর উপর বসাইয়া “মা নিষাদ” এই প্রয়োগাদ্য শ্লোক অভ্যাস করাইতেন । সে কালে বালকদিগকে সংস্কৃত শ্লোক অভ্যাস করাইবার রীতি ছিল । বাপ খুড়ো জেঠা