তাঁহাকে বিহিদানা খাইতে বলেন। বাদল গ্রামের নিকট গড়াইগ্রামে অনেকগুলি দোকান আছে, উহা একটি গঞ্জ বিশেষ স্থান। ঐ স্থানে সপ্তাহে একটা নির্দ্দিষ্ট দিবসে হাট হইয়া থাকে। মধুসুদন বসু গড়াইয়া বেণের দোকানে বিহিদানা ক্রয় করিবার মানসে তথায় যাত্রা করিলেন, কিন্তু পথিমধ্যে বিহিদানা ভুলিয়া গেলেন, বেণের দোকানে গিয়া বিহিদানা নামটী না চাহিয়া মিহিদানা চাহিলেন। পাঠকবর্গ অবশ্যই জ্ঞাত আছেন বেণেরা কোন খোদ্দেরকে ফিরায় না। কোন ঔষধের দ্রব্য না থাকিলেও অন্য কোন দ্রব্য সেই দ্রব্য বলিয়া দেয়। মিহিদানা বলতে বেণিয়া তাহাকে অতি সূক্ষ্ম এক প্রকার দানা দিল। বসুজা মহাশয় তাহাই লইয়া আসিলেন, কিন্তু তাঁহার যে বন্ধু বিহিদানা ব্যবস্থা করিয়াছিলেন তিনি তাঁহাকে উহা খাইতে নিষেধ করিলেন। আমরা যে সকল ঔষধ বেণের দোকান হইতে ক্রয় করি তাহা আমাদিগের অপরিচিত থাকিলে বিলক্ষণরূপে তাহা যাচাই করিয়া লওয়া কর্ত্তব্য। তাহা না হইলে বিহিদানা পরিবর্ত্তে মিহিদানা খাইবার অনিষ্ট ভোগ করিতে হয়।
আনন্দকিশোর বসু।
আনন্দকিশোর বসু রামসুন্দর বসুর দ্বিতীয় পত্নীর প্রথম সন্তান। ইনি রামমোহন রায়ের স্কুলে পড়েন। হিন্দুকলেজ সংস্থাপিত হইবার পূর্ব্বে রামমোহন রায় স্বদেশীয়